চীন-রাশিয়ার ব্যবসা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৬ শতাংশ

চলতি বছরের প্রথম ৪ মাসে প্রায় ৫২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে চীন-রাশিয়ার যৌথ ব্যবসা। গেলো বছরের তুলনায় এ বছর প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৬ শতাংশ বেশি।

পশ্চিমাদের দেয়া একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় যখন জর্জরিত রাশিয়া, তখন নিজেদের ব্যবসায় বিশ্বস্ত সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছে চীনকে। চীনের রাজস্ব বিভাগের তথ্যমতে, ইউরোপ থেকে নিজের ব্যবসার সিংহভাগ চীনে নিয়ে আসায় গত বছরের তুলনায় এ বছর দেশ দুটির ব্যবসা বেড়েছে ২৫ দশমিক ৯ শতাংশ। চীনা মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩৪৪ বিলিয়ন ইউয়ান।

চীনের রাজস্ব বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাস পর্যন্ত চীন রাশিয়াতে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ রফতানি বাড়িয়েছে, বাজারে যার মূল্যমান ২০ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার। এদিকে চীনের বাজারে রাশিয়ার পণ্য বিক্রি বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৮ শতাংশ (৩০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার)। এ ছাড়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেড়েছে ৮ দশমিক ৭ শতাংশ (১২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন)।

খবর রয়টার্স।

ফেব্রুয়ারির শেষার্ধে ও মার্চে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে রাশিয়া ৭০ শতাংশ জ্বালানি তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও কয়লা ইউরোপের পরিবর্তে চীনে রফতানি করেছে। এছাড়া চীনের বাজারে রাশিয়ান কপার, কাঠ, ফুয়েল ও সামুদ্রিক খাদ্যপণ্যের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

এদিকে রাশিয়া থেকে পশ্চিমা কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার সুবাদে রাশিয়ার বাজার দখল করেছে চীন। রাশিয়ার বাজার চীনা স্মার্টফোন, বাচ্চাদের খেলনা, জুতা, মোটরসাইকেল, এসি ও কম্পিউটারে সয়লাব হয়ে গেছে।

২০২০ সালে মহামারিকালে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে প্রায় ১০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা হয়েছিল। ২০২১ সালে রেকর্ড পরিমাণ দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা করে রাশিয়া-চীন। গত বছর দেশদুটি দ্বিপাক্ষিকভাবে প্রায় ১৪৭ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা করে।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বেইজিংয়ে শীতকালীন অলিম্পিকের সময় বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে একমত হন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। পাশাপাশি রাশিয়ার তেল ও গ্যাস খাতে ১১৭ বিলিয়ন ডলারের চীনা বিনিয়োগেরও চুক্তি করেন দুই নেতা।

এদিকে সুইফট থেকে রাশিয়া বাদ পড়ায় বর্তমানে চীনের সঙ্গে ইউয়ানে লেনদেন বাড়িয়েছে মস্কো। আগে দুই দেশের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশ লেনদেন ইউয়ানে হলেও ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এ হার বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে মার্চ থেকে ইউয়ান ব্যবহার করে জ্বালানি কিনছে চীনের পেট্রো কেমিক্যাল কোম্পানিগুলো।

অর্থসূচক/এমআর/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.