‘ইউক্রেন যুদ্ধের নামে রাশিয়ায় অভিজান চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র’

কিয়েভের সঙ্গে হাত মিলিয়ে রাশিয়া এবং তার সিমান্তবর্তী অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, সম্প্রতি এমন অভিযোগ তুলে রাশিয়ার শীর্ষ এক আইনপ্রণেতা “ব্যাচেস্লাভ ভলোদিন” বলেছেন, এর অর্থ দাঁড়ায় যে ইউক্রেনের সাথে সমন্বয় করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষভাবে যুদ্ধে জড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ব্যাচেস্লাভ ভলোদিন রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিমকক্ষ, দুমার স্পিকার এবং মস্কোর একজন প্রখ্যাত আইনজীবী।

ভোলোদিন এক টেলিগ্রাম চ্যানেলে লেখেন যে, ওয়াশিংটন ইউক্রেনের সামরিক অভিযানের সমন্বয় করছে ও ভারী অস্ত্র সরবরাহ করছে। ফলে সরাসরি রাশিয়ার বিরুদ্ধে সামরিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে যুক্তরাষ্ট্র।

খবর রয়টার্স।

ওয়াশিংটন ও ন্যাটো জোটের ইউরোপীয় সদস্যরা কিয়েভকে ভারী অস্ত্র সরবরাহ করছে যাতে দেশটি রাশিয়ান আক্রমণ প্রতিহত করতে পারে। যার ফলে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি বড় হামলা প্রতিহত করতেও পেরেছে ইউক্রেন। ফলে পূর্ব এবং দক্ষিণ ইউক্রেনের কিছু অংশ রাশিয়া নিয়ন্ত্রণে নিলেও কিয়েভ দখলে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

যদিও ইউক্রেন যুদ্ধে জড়ানোর বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে আসছে ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেনকে গোয়েন্দা সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র শুধু রাশিয়ার হামলা ঠেকাতে। অন্য কোনো উদ্দেশ্যে গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করার বিষয়টি অস্বীকার করছেন তারা।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে টানা এক মাস ধরে উত্তেজনা চলার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন চালায় রাশিয়া। ইউক্রেন-রাশিয়ার লড়াই গড়িয়েছে তৃতীয় মাসে। এরই মধ্যে বহু মানুষ হতাহতের খবর পাওয়া গেছে দেশটিতে। ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়েছে প্রায় ৫০ লাখ মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিলেও থামতে নারাজ পুতিন সরকার। অন্যদিকে হার মানতে রাজি নন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও।

ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারেও। অধিকাংশ দেশে বেড়েছে সব পণ্যের দাম। ইউক্রেন, রাশিয়া থেকে খাদ্যপণ্য আমদানি করতে না পারায় খাদ্য সংকটও তৈরি হয়েছে কয়েকটি দেশে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধ না হলে বিশ্ব অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়বে।

অর্থসূচক/এমআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.