দুর্নীতির মামলায় সু চির ৫ বছরের কারাদণ্ড

দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চিকে আরও পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন দেশটির জান্তা সরকারের একটি বিশেষ আদালত। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের পর তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির ১১টি মামলা বিচারাধীন। এবারই প্রথম তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার রায় হলো।

নেইপিদোর আদালত সাবেক মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ছয় লাখ মার্কিন ডলার নগদ অর্থ এবং ১১ দশমিক ৪ কিলোগ্রাম স্বর্ণ ঘুস নেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেন সু চিকে। গত অক্টোবরে সু চির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়ে সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে তিনি তাকে ‘তার সমর্থনের বিনিময়ে’ ঘুস দিয়েছিলেন।

স্টেট এ্যাডমিনিস্ট্রেশনের কাউন্সিলের প্রধান মুখপাত্র মেজর জেনারেল জাও মিন তুন এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। স্থানীয় সময় বেলা ১টার দিকে তিনি গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানা গেছে।

এর আগে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উসকানি দেওয়া ও করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ ভঙ্গের অভিযোগে গত ডিসেম্বরে সু চিকে চার বছরের কারাদণ্ড হয়। পরে সেই সাজা কমিয়ে দুই বছর করা হয়। এ ছাড়া অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও ব্যবহারের আরেক মামলায় গত জানুয়ারিতে তাকে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

নোবেল বিজয়ী ৭৬ বছর বয়সী সু চির বিরুদ্ধে ডজনখানেক মামলা বিচারাধীন। এসব মামালার রায় হলে তার ১৯০ বছরের মতো কারাদণ্ড হতে পারে। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন সু চি।

গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির এনএলডি (ন্যাশনাল লি ফর ডেমোক্র্যাসি) সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এর পরপরই জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে মিয়ানমার। বিক্ষোভ দমনে চড়াও হয় সামরিক সরকারও। এতে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। আটক হন আরও কয়েক হাজার।

সূত্র: ব্লুমবার্গ

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.