নিষেধাজ্ঞার মুখে ঋদ্ধিমানকে হুমকি দেওয়া সাংবাদিক

সাক্ষাৎকার চেয়েও তা না পেয়ে ঋদ্ধিমান সাহাকে হুমকি দিয়েছিলেন ভারতের সংবাদমাধ্যমের জনপ্রিয় মুখ বরিয়া মজুমদার। এবার বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) কাছ থেকে বড় ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি। ঋদ্ধিমান-বরিয়া’র ঘটনাটি তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে বিসিসিআই। তদন্ত শেষে বরিয়া বিপক্ষে ঋদ্ধিমানের করা অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পায় তারা।

বিসিসিআইয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা দ্য সানডে এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘আমরা ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের সব রাজ্য সংস্থাকে জানিয়ে দেব, তাকে (বরিয়া) যেন কোনো স্টেডিয়ামে ঢুকতে না দেওয়া হয়। তাকে দেশের মাঠে কোনো ম্যাচের মিডিয়া অ্যাক্রেডিটেশন দেওয়া হবে না। আইসিসির কাছেও চিঠি পাঠিয়ে তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করা হবে। খেলোয়াড়দের বলা হবে যেন তার সঙ্গে সম্পর্ক না রাখে।’

ঘটনার শুরু মাসখানেক আগে। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলে ভারত। সেই দলে জায়গা হয়নি বর্ষীয়ান উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমানের। দল ঘোষণার পর তার কাছে সাক্ষাৎকার চেয়েছিলেন বরিয়া। তবে সাক্ষাৎকার দিতে রাজি না হওয়ায় ঋদ্ধিমানকে বিব্রত করেন তিনি।

হোয়াটসঅ্যাপের স্ক্রিনশর্ট সামনে এনে তখনই এমন অভিযোগ আনেন ঋদ্ধিমান। গণমাধ্যমে নাম প্রকাশ না করলেও বিসিসিআইয়ের কাছে বরিয়ার নাম জানিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান। অবশ্য এখনও পর্যন্ত গণমাধ্যমে তার নাম জানাননি এই উইকেটকিপার ব্যাটার।

ঋদ্ধিমান নাম প্রকাশ না করলেও টুইটারে এক ভিডিও বার্তা দিয়ে নিজেকে সামনে আনেন বরিয়া। ভারতের জনপ্রিয় এই সাংবাদিক নিশ্চিত করেছেন, সাক্ষাৎকারের জন্য তিনিই ঋদ্ধিমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন, তবে হুমকি দেননি। বরিয়া দাবি করেছেন যে, তার দেয়া বার্তাটি বিকৃত করেছেন ঋদ্ধিমান।

এমন ঘটনার পর ঋদ্ধিমানের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করার কথা জানিয়ে টুইট করেছেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির আস্থাভাজন এই সাংবাদিক। বরিয়া বলেন, ‘একটি গল্পের সবসময় দুটি দিক থাকে। ঋদ্ধিমান আমার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশর্ট শেয়ার করেছে। আমার খ্যাতি এবং বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। আমি বিসিসিআইকে সুষ্ঠু শুনানির জন্য অনুরোধ করেছি। আমার আইনজীবীরা ঋদ্ধিকে মানহানির নোটিশ দিচ্ছেন। সত্যের জয় হোক।’

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.