ব্রাসেলের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ফ্রান্স ও জার্মানি ২৯৫ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্রসরঞ্জাম রাশিয়াকে সরবরাহ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে বোমাবারুদ, রকেটস, মিসাইল ও বন্দুক। শনিবার (২৩ এপ্রিল) দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফকে জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
২০১৪ সালে রাশিয়া সংযুক্ত ইউক্রেনের ক্রাইমিয়া দখলের সময় ফ্রান্স ও জার্মানি রাশিয়াকে ২৯৫ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্রসরঞ্জাম দেয়। দীর্ঘ ৮ বছর বিষয়টি অপ্রকাশিত থাকার পর ইইউ শনিবার তা গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।
ইইউ আরও জানায়, চলতি মাসের শুরতে ইউরোপের অন্তত ১০টি সদস্য রাষ্ট্র রাশিয়ার কাছে ৩৭৭.৫১ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রয় করে। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে এ নিয়ে মুখ না খোলার জন্য উক্ত সদস্যরাষ্ট্রগুলো বাধ্যও করে।
ইইউ প্রকাশিত খবরে, যে সকল কোম্পানি রাশিয়ার কাছে অস্ত্র রপ্তানি করেছে তাদের শতকরা ৭৮ শতাংশ ছিল ফ্রান্স ও জার্মানির। ধারনা করা হচ্ছে, যে সকল অস্ত্র বিক্রি করা হয়েছে তাদের কিছু অস্ত্র রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করছে।
জানা গেছে, কেবল জার্মানের অস্ত্র রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার কাছে ১৩৭.৩৯ মিলিয়ন ডলারের রাইফেল ও বিশেষ প্রতিরক্ষামূলক সাঁজোয়া যান এবং “দ্বিমুখি-ব্যবহার” অস্ত্র বিক্রয় করেছে। ২০১৪ সালেই বার্লিন ইইউর পার্লামেন্টে একটা অস্পষ্ট বিষয় উপস্থাপন করে অস্ত্র বিক্রয়ের বিষয়টি আড়াল করে ফেলেছে।
কিন্তু বার্লিন জোর দিয়ে বলছে যে, তারা সামরিক কাজে প্রয়োগ করার জন্য সেগুলো বিক্রি করেনি। ক্রেমলিন তাদেরকে নিশ্চয়তা দিয়েছে যে তারা আমদানিকৃত অস্ত্রগুলো সাধারন নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য কিনছে।
জার্মানির অর্থমন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যদি রপ্তানিযোগ্য অস্ত্রগুলো পাঠানোর চুক্তিতে এমন কিছু উল্লেখ থাকত যে রাশিয়া আমদানিকৃত অস্ত্রগুলো তাদের সামরিক কাজে ব্যবহার করবে তাহলে তো তারা রপ্তানি লাইসেন্সের নিশ্চয়তা দিত না।
ইইউ আরও বলছে, ফ্রান্সও রাশিয়াকে ১৬৪.৩৫ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্রের একটি চালান পাঠিয়েছে। প্যারিস ২০১৪ সালের আগেই অস্ত্র রপ্তানিকারকদের নির্দেশ দিয়েছে রাশিয়া-ফ্রান্স অস্ত্র চুক্তি সম্পন্ন করতে।
অর্থসূচক/এইচডি/এমএস



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.