‘জাপানি বন্ধুদের কাছ থেকে পোর্টফোলিও বিনিয়োগ আশা করছি’

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেছেন, জাপানি বন্ধুদের কাছ থেকে আমরা এফডিআই চাই। সঙ্গে পোর্টফোলিও বিনিয়োগের আশা করছি। কারণ এখান থেকে মুনাফা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ইস্টার্ন ব্যাংক ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাথে জাপানি ব্যবসায়ীদের সংগঠন জেটরোর যৌথ উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে জাপানি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের সুযোগ’ শীর্ষক আয়োজিত ওয়েবিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

জাপানি ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগের (এফডিআর) পাশাপাশি পুঁজিবাজারে পোর্টফোলিও বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, জাপান বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো ও বিশ্বস্ত বন্ধু। ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের যখন জন্ম হয়, তখন সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর একটি ছিলাম। ৫০ বছর পর ২০০ দেশের মধ্যে জিডিপির আকারে এখন আমরা ৪৩তম। ২০৩০ সালের মধ্যে শীর্ষ ২০টি দেশের একটি হতে চাই।’

জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ‘বাংলাদেশের যেভাবে উন্নতি করছে, ব্যবসার পরিবেশ ভালো করছে, সেগুলো জাপানি ব্যবসায়ীদের জানানো উচিত। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে যেসব জাপানিরা ব্যবসা করছেন, তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারলে ভালো হয়।’

ডিএসইর চেয়ারম্যান ইউনুসুর রহমান বলেন, ‘জাপান সবসময় বাংলাদেশের বন্ধু দেশ। বাংলাদেশের উন্নয়নে বন্ধু দেশের কাছ থেকে অনুদান নয়, বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছি।’

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তারিক আমিন ভূঁইয়া বলেন, ‘বাংলাদেশের শেয়ারবাজার মূলত মূলধনী বাজার নির্ভর। তবে এখন নতুন ধারা বিনিয়োগ পণ্য আনার চেষ্টা চলছে। বর্তমানে বাজার মূলধন জিডিপির তুলনায় ২০ শতাংশ। এটা শতভাগের সমানে উন্নীত করার সুযোগ আছে।’

জেটরোর কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ ইউজু অ্যানডু বলেন, ‘বাংলাদেশে জাপানি কোম্পানির মুনাফা বাড়ছে। ভবিষ্যতে মুনাফা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন জাপানি ব্যবসায়ীরা। আগের তুলনায় শ্রমিক মজুরি বাড়লেও প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় এখনও তা প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে আছে। তবে ব্যবসার ক্ষেত্রে কাঁচামাল আমদানি করতে হয় বেশি। বাংলাদেশেই কাঁচামাল কেনা গেলে ব্যবসার সুযোগ আরও বাড়তো।’

অর্থসূচক/আরএম/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.