জুলাইয়ের শেষে জানা যাবে এশিয়া কাপের ভাগ্য

করোনার থাবায় ২০২০ সালের এশিয়া কাপ পিছিয়ে দেয়া হয় এক বছর। কিন্তু বছর পেরিয়েও নির্ধারিত সময়ে আশার আলো দেখতে ব্যর্থ হয় টুর্নামেন্টটি। কারণ সেই করোনাভাইরাসই! মরণব্যাধি এই ভাইরাসের কারণে পরবর্তীতে আরও এক বছর পিছিয়ে দেয়া হয় এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব লড়াইয়ের এই টুর্নামেন্টটি।

২০২২ সালে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হওয়ায় এশিয়া কাপ নিয়ে ইতিবাচক পথেই হাঁটছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর ঠিক দুই মাস আগে আবারও অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে হচ্ছে এশিয়া কাপকে। এবার অবশ্য কারণ করোনাভাইরাস নয়, বরং আয়োজক দেশের ভয়াবহ আর্থিক সংকট।

২৭ আগস্ট থেকে শ্রীলঙ্কায় পর্দা ওঠার কথা এশিয়া কাপের। কিন্তু আয়োজক দেশটি ভয়াবহ আর্থিক সংকটে পড়েছে । ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর এবারই সবচেয়ে কঠিন সংকটের মোকাবেলা করতে হচ্ছে ভারত মহাসাগরের দ্বীপ দেশটিকে। দেশটির জনগণ এখন ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানি সংকট, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতি ও উচ্চমূ্ল্য, দিনে দীর্ঘসময়ের লোডশেডিংয়ে নাকাল। এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কাতে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এমন অবস্থায় দেশটিকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।

এসিসির এক সূত্র ইন্ডিয়া টুডেকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সূত্র জানায়, ‘এই মুহূর্তে এটা বলা খুব কঠিন। তবে আমি এটা জানি যে ওরা আশাবাদী যে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনে। এখনও এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় আছে। এছাড়া তাদের ২৭ জুলাই পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দিয়েছে।’

এছাড়া জুন-জুলাইয়ে ঘরের মাঠে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া সিরিজ নিয়েও শঙ্কায় পড়েছে এসএলসি। বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের দাবি, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভিন্ন ভেন্যুতে আয়োজন করা হতে পারে এশিয়া কাপ। দুবাইতে এই বিষয়ে নেয়া হবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক অবস্থার কারণে এই দুই দেশে এশিয়া কাপ আয়োজন করা হচ্ছে না অনেকটাই নিশ্চিত। এই পরিস্থিতিতে এসিসি বিকল্প হিসেবে আরব আমিরাত বা বাংলাদেশকেও ভাবতে পারে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.