যুক্তরাষ্ট্রের কাছে মানবাধিকার প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে মানবাধিকার বিষয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা চাওয়া হবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে।

রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মার্কিন মানবাধিকার প্রতিবেদনের ওপর মন্তব্য করতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।

২০২১ সালে বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদন গত ১২ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়েছে। ৭৪ পৃষ্টার ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রতিবেদনে রোহিঙ্গা ইস্যু, বিচার বিভাগ, নির্বাচন নিয়ে অভিযোগ তোলার পাশাপাশি বাংলাদেশের এলজিবিটিদের (লেসবিয়ান, সমকামী, রূপান্তরকামী) জন্য বাংলাদেশে আইন নেই এবং বাংলাদেশ তাদের প্রয়োজন মেটাতে পারছে না- এমন কথাও বলা হয়।

এসব বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের নাক গলানো আশা করে না সরকার। এই রিপোর্টে অনেক কিছু আছে, যা আমাদের ধর্মীয় ও সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।

শাহরিয়ার আলম বলেন, গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে গত এক দশকে অনেক উন্নতি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শ্রম খাত। অথচ পুরো রিপোর্টে এ সম্পর্কে কোনো মন্তব্য নেই।

র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোনো ভালো প্রতিষ্ঠানকে দুর্বল করে দেওয়ার চেষ্টা সরকার ভালো চোখে দেখবে না। বাংলাদেশ জঙ্গিবাদের মূলোৎপাটন করেছে। কিন্তু এখানেও সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ কারণে র‍্যাবের মতো জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিন্দা না করার জন্য অনুরোধ করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.