২ বন্ধুকে আটকে রেখে টাকা আদায়ে: এএসআই প্রত্যাহার

দুই বন্ধুকে আটকে রেখে টাকা আদায়ের ঘটনায় এক এএসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। আজ দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার তাকে প্রত্যাহারের আদেশ দেন। তবে তার দুই সহযোগী কনস্টেবল মো. মিন্টু ও মো. নোমানের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

প্রত্যাহারকৃত সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) শাহদত হোসেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন বাসন থানায় কর্মরত ছিলেন।

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপ কমিশনার (অপরাধ) জাকির হাসান বলেন, গাজীপুরের বাসন থানার এএসআই শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার রাতে দুই যুবককে আটক করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় শনিবার দুপুরে তাকে বাসন থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাটি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভুক্তভোগীরা জানান, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার মধ্যপাড়া ইউনিয়নের নস্করচালা গ্রামের মনির হোসেন ও আলফাজ হোসেন একটি নতুন মোটরসাইকেল নিয়ে গাজীপুরের মোল্লাপাড়া এলাকায় বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যান। বেড়ানো শেষে তারা বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের নাওজোড় এলাকায় উড়ালসড়কের পাশে পৌঁছালে বাসন থাকার সহকারী উপপরিদর্শক শাহদত হোসেন, কনস্টেবল নোমান ও মিন্টু তাদের গতিরোধ করেন। পরে তারা মোটরসাইলের কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে তাদের দেহ তল্লাশিসহ নানাভাবে হয়রানি ও মামলা দিয়ে গ্রেফতারের ভয়ভীতি দেখান।

দুই কনস্টেবল তাদের পকেট তল্লাশি করে দুই জনের কাছ থেকে ৬ হাজার ৮০০ টাকা নিয়ে নেন এবং তাদের বাড়িতে খবর দিয়ে আরো টাকা আনতে বলেন। ছেলেদের আটক করার খবর পেয়ে রাতেই মনির ও আলফাজের বাবা সেখানে ছুটে যান। পরে আরো ৬ হাজার টাকা দিলে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.