‘দুই প্রতিষ্ঠানকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও পুরো মামলা খারিজ হয়নি’

রিজার্ভের চুরি যাওয়া অর্থ উদ্ধারে যে মামলা করা হয়েছিল, সেই মামলা থেকে দুটি প্রতিষ্ঠানকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও পুরো মামলা খারিজ করা হয়নি। মামলার মূল আসামী আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা চলবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিযুক্ত আইনি প্রতিষ্ঠান।

অর্থ উদ্ধার ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে গত ২৭ মে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক কাউন্ট্রি সুপ্রিম কোর্টে রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক এবং ১৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে বাংলাদেশ। আরসিবিসিসহ ৫জন বিবাদী মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে। গত ৮ এপ্রিল দেশটির আদালত আংশিক রায় দিয়েছে।

নিউইয়র্কের সুপ্রিম কোর্ট গত ৮ এপ্রিল এক রায়ে ‘এখতিয়ার না থাকার’ কথা উল্লেখ করে ফিলিপাইনের সোলারি রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনো ও ম্যানিলা বে পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ব্লুমবেরি রিসোর্টস করপোরেশনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিযুক্ত আইনি প্রতিষ্ঠান আশাবাদী, মামলার মূল আসামি ফিলিপাইনের ব্যাংক আরসিবিসির বিরুদ্ধে আদালত ইতিবাচক রায় দেবেন।

মামলার অন্যতম বিবাদী আরসিবিসি, লরেঞ্জো টান ও রাউল টানের বিষয়ে আদালত এখনো রায় দেয়নি।

এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে মামলা করেছিল। সেই আদালত আরসিসিবিসির মোশন টু ডিসমিস আবেদন খারিজ করেছিল। সেই আদেশে বলা হযেছিল, এই চুরি নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্ক থেকে সংঘটিত হয়েছিল। জালিয়াতির মাধ্যমে পেমেন্ট অর্ডারসহ বিভিন্ন হিসাবে অর্থ স্থানান্তর-এসব কিছু সন্দেহাতীতভাবে নিউ ইয়র্কে সংঘটিত হয়েছিল। এই বিবেচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের করা মামলার মূল আসামী আরসিবিসির মোশন টু ডিসমিস আবেদনের বিষয়ে নিউ ইয়র্ক আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে ইতিবাচক রায় দেবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনি প্রতিষ্ঠান আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।

মামলার আরেক আসামী কিম ওংয়ের ডিসমিসাল আবেদন খারিজ করে তাকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অভিযোগের জবাব দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে নিউ ইয়র্ক সুপ্রিম কোর্ট।

অর্থসূচক/এমএস/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.