পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এনআরবিসি ব্যাংক লিমিটেড গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। আলোচিত বছরের জন্য ব্যাংকটি শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে। এর অর্ধেক নগদ, বাকী অর্ধেক বোনাস।

আজ বুধবার (১৩ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশের এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুসারে, আলোচিত বছরে সহযোগী প্রতিষ্ঠানের আয়সহ ব্যাংকটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি আয় (Consolidated EPS) হয়েছে ৩ টাকা ৭ পয়সা। আগের বছর কোম্পানিটির সমন্বিত ইপিএস ছিল ১ টাকা ৮৭ পয়সা।
আলোচ্য সময়ে এককভাবে ইপিএস ১ টাকা ৮২ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২ টাকা ৮৩ পয়সা। এক বছরে ইপিএস বৃদ্ধির হার ৬৪ শতাংশ।
গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ তারিখে কোম্পানিটির সমন্বিত শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৬ টাকা ২৫ পয়সা।
আগামী ২ জুন ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ মে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম পারভেজ তমালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়্যাল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিয়া আরজু, পরিচালক মোহাম্মদ আদনান ইমাম, মোহাম্মদ অলিউর রহমান, আবু বকর চৌধুরী, লকিয়ত ঊল্লাহ, একেএম মোস্তাফিজুর রহমান, বিকল্প পরিচালক ড. কুতুব উদ্দিন, স্বতন্ত্র পরিচালক এয়ার চিফ মার্শাল (অব) আবু এশরার, ড. খান মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, রাদ মজিব লালন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী গোলাম আউলিয়া, এএমডি কাজী মো. তালহা, ডিএমডি ও সিএফও হারুনুর রশীদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. রিয়াজ উদ্দিন আসিফ উপস্থিত ছিলেন।
পরিচালনা পর্ষদের সভায় জানানো হয়, করোনাকালের মধ্যে ব্যাংকটি তার নেটওয়ার্ক বিস্তার এবং ব্যাংকিং সেবার প্রসার ঘটিয়েছে। সাধারণ ব্যাংকিংয়ের পাশাপাশি ইসলামী ব্যাংকিং ও মাইক্রোক্রেডিটের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ জোরদার করা হয়েছে। ফলে এক বছরের ব্যবধানে ঋণ বিতরণ বেড়েছে ৪০.১৭ শতাংশ। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে ঋণের পরিমান দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৪৯০ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময় র্ছিল ৭ হাজার ৪৮৩ কোটি টাকা। পাশাপাশি আমানত সংগ্রহ প্রায় ২৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৮২ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ডিসেম্বর শেষে আমানত ছিল ৯ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা। ২০২১ সালের চূড়ান্ত হিসেবে পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৪০৫ কোটি টাকা, আগের বছরে যা ছিল ৩০৬ কোটি টাকা। নিট মুনাফার পরিমান দাঁড়িয়েছে ২০৮ কোটি টাকা, আগের বছর যা ছিল ১৩৪ কোটি টাকা। ২০২০ বছরের ডিসেম্বরে ব্যাংকের শাখা-উপশাখা ছিল ৪৫০টি, গত বছর শেষে যা বেড়ে হয়েছে ৭২৯টি। ব্যাংকে সবমিলিয়ে প্রত্যক্ষভাবে ৬০০০ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।অর্থসূচক/



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.