ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় পাক প্রধানমন্ত্রী, আমেরিকা-চীনকে ইতিবাচক বার্তা

ইমরান খানের সময়ে আমেরিকার সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক খারাপ হয়ে যায়। শাহবাজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরই জানিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে সহযোগিতার নীতি নিয়ে চলার প্রয়োজন আছে। চীনকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেছেন, দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার কথা বলেছেন তিনি।

শাহবাজ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর হোয়াইট হাউস তাকে অভিনন্দন জানায়। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি বলেন, আমেরিকার স্বার্থের জন্য গণতান্ত্রিক পাকিস্তান খুবই জরুরি। তার জবাবে পাক প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানিয়েছে, নতুন সরকার শান্তি, উন্নয়ন ও সুরক্ষার জন্য আমেরিকার সঙ্গে গঠনমূলক ও ইতিবাচক সম্পর্ক চায়।

ইমরানের অভিযোগ ছিল, তিনি রাশিয়াপন্থি নীতি নিয়েছিলেন বলে আমেরিকা তাকে ক্ষমতাচ্যূত করতে উঠেপড়ে লেগেছিল। এমনকী, পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে রীতিমতো হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। আমেরিকা অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করে।

শাহবাজ শরীফ প্রধানমন্ত্রী হয়ে আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করার বার্তা দিলেন। তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক ভালো করাই হবে তার সরকারের লক্ষ্য। ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভাষণ দেয়ার সময় শরীফ বলেছেন, আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিভ্রান্তি আছে। তবে তার মানে এই নয় যে, ঐতিহাসিক সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে।

এদিকে শাহবাজ শরীফকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার জবাবে শরীফ বলেছেন, পাকিস্তান শান্তি ও মানুষের সামাজিক-অর্থনৈতিক চাহিদার উপরই জোর দেবে। পাকিস্তান ভারতের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক চায়। তারা চায়, জম্মু ও কাশ্মীর-সহ সব বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধান হোক।

চীনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স শরীফের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাকে শাহবাজ শরীফ বলেছেন, তার সরকার চীনের সঙ্গে আর্থিক সহযোগিতা আরো বাড়াবে। তার আশা, চীন পাকিস্তানের শিল্প, কৃষি ও ডিজিটাল প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আরো বিনিয়োগ করবে।

এ ছাড়া রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনও শাহবাজ শরিফকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। একটি বিবৃতিতে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, নতুন সরকারের আমলে রাশিয়া ও পাকিস্তানের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে। সূত্র: ডিডাব্লিউ, দ্য ডন

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.