মুশফিকের অমন শট একেবারেই অপ্রত্যাশিত: সুজন

গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে অনেকবারই আউট হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। দেশের অন্যতম সেরা এই ব্যাটারের নিবেদন নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে অনেকবার। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পোর্ট এলিজাবেথ টেস্টেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। দলের সিনিয়র ব্যাটার মুশফিকের এমন শট নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় একরকম বিরক্তই হয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।

বাংলাদেশের ইনিংসের ৬৯তম ওভারে প্রথম বল হাতে নেন সাইমন হার্মারের। প্রোটিয়া স্পিনারের প্রথম বলেই সুইপ শটে চার মেরে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন মুশফিক। এরপরের বলে এলবিডব্লুর আপিল হয়। তৃতীয় বলেই আলোচিত রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে মুশফিক বোল্ড। হার্মারের বল ব্যাটের নিচ দিয়ে গিয়ে আঘাত করে স্ট্যাম্পে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রিভার্স করে সাজঘরে ফেরা মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ৫১ রান।

মুশফিকের শট নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর সুজন বলেন, ‘মুশফিকের ওই শট অবশ্যই প্রত্যাশিত ছিল না। বিরতির আর ৪ মিনিট বাকি ছিল। জানতাম যে আর ৪৩ রান করলে আমরা ফলো-অন বাঁচাব। ওরকম সময়ে এমন শট, মুশি আমাদের অনেক অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। ওর কাছ থেকে অমন শট আমরা কেউ আশা করিনি। অপ্রত্যাশিত একটা শট। এই সময় এরকম শট খেলবে…সে শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান তখন, আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল ফলো-অন বাঁচানো। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা আমাদের ফলো-অন করায়নি। তারপরও ভাবমূর্তির জন্য, একটা প্রেস্টিজিয়াস ব্যাপার ফলো-অন এড়ানো। সে জানে, ওই পরিস্থিতিতে সে ব্যাট করেছে, কেন করেছে, সে বলতে পারবে। ব্যাখ্যা মুশিই দিতে পারবে। তবে কিছুটা দুর্ভাগ্যজনক।’

এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন সংস্করণে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দেন মুশফিক। লাঞ্চের ঠিক আগমুহূর্তে ৮০ টেস্ট খেলা এক ব্যাটার কী কারণে এমন শট খেললেন সেই প্রশ্ন রেখে সুজন বলেন, ‘ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টিতে আমরা এই শট মেনে নেই। কারণ রানের খেলা, রান করতে হবে। কিন্তু টেস্টে কেন? বিশেষ করে, সে যখন এত কষ্ট করে ফিফটি করেছে, ভালো ব্যাটিং করতে করতে নিজেই ছেড়ে দিয়েছে। ব্যাখ্যা মুশিই দিতে পারবে আসলে, তবে অমন শট তার কাছ থেকে ওই সময় প্রত্যাশিত নয়।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.