ডিআরইউতে ‘কবি কাজী নজরুল ইসলাম লাইব্রেরি’ উদ্বোধন

ভালো সাংবাদিক ও লেখক হতে হলে পড়াশোনার গুরুত্ব অপরিসীম। আর বই পাঠের সব থেকে ভালো জায়গা হলো লাইব্রেরি। সেই বিষয়টি চিন্তা করে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) চালু হলো ‘কবি কাজী নজরুল ইসলাম লাইব্রেরি’।

রোববার (১০ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ডিআরইউ’র এ লাইব্রেরি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাইকমিশনার বলেন, প্রতিটি মানুষের নিজস্ব চিন্তা-ভাবনা ও মতামত আছে এবং তা প্রকাশের অধিকারও আছে। তবে সাংবাদিকদের মতামত নয় বরং ঘটনার ফ্যাক্টস বা সত্যতা খুঁজে বের করতে হয়। আর এ সত্যতা খোঁজার সব থেকে উত্তম উপায় হলো বই এবং ভালো জায়গা হলো লাইব্রেরি। আমরা যত পড়বো আমাদের সত্য অন্বেষণের ক্ষেত্র তত উন্মুক্ত হবে এবং আরও বেশি আগ্রহ জাগবে। একইসঙ্গে আমরা সত্য এবং মতামত প্রকাশে আরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবো। সঠিক ইতিহাস জেনে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে পারবো।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত অত্যন্ত বন্ধুপ্রতীম দেশ। করোনার কারণে দু’দেশের মধ্যে অনেক কার্যক্রমই থেমে আছে। তবে এখন যেহেতু করোনা থেমে আসছে, আমরা আশা করছি সেসব কার্যক্রমগুলো আবারও চালু হবে খুব দ্রুত।

এ সময় তিনি কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে লাইব্রেরির নামকরণ করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং আগামীতে ডিআরইউ’র পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ডিআরইউর সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ‘বাংলা ও ইংরেজি ভাষার বিভিন্ন বইয়ে সমৃদ্ধ করা হয়েছে এ লাইব্রেরিটি। ভালো সাংবাদিক ও লেখক হতে হলে লাইব্রেরির গুরুত্ব অপরিসীম। সেখান থেকে আমরা একটি লাইব্রেরির গুরুত্ব অনুধাবন করি এবং তা আজ বাস্তবে রূপ দিতে পেরেছি। আমরা আশা করি এখান থেকে সমৃদ্ধ হয়ে আরও ভালো সাংবাদিক ও লেখক আমরা পাব।’ এ সময়ে ভারতের গণমাধ্যম নিয়ে পড়াশোনায় বৃত্তির ক্ষেত্রে ডিআরইউয়ের সদস্যদের বিবেচনা করতে হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবসহ কমিটির অন্যান্য নেতা ও সব কার্যনির্বাহী সদস্যরা।

অর্থসূচক/এইচডি/এমএস

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.