শেষ ওভারের রোমাঞ্চে পাঞ্জাব কিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে গুজরাট টাইটান্স। শেষ দুই বলে টানা ছক্কা হাঁকিয়ে গুজরাটের ম্যাচের নায়ক বনে গেছেন রাহুল তেওয়াতিয়া। জয় পেতে শেষ ওভারে ১৯ রান প্রয়োজন ছিল গুজরাটের।
ক্যারিবীয় পেসার ওডেন স্মিথ প্রথম বলটি ওয়াইড করেছিলেন। ওয়াইড লেন্থের করা পরের বল ব্যাট না ছুঁলেও এক রানের বৃথা চেষ্টা করেছিলেন ডেভিড মিলার। ফলাফল ভুল বোঝাবুঝিতে হার্দিক পান্ডিয়া রান আউট। এরপরই উইকেটে আসেন তেওয়াতিয়া। প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে মিলারকে স্ট্রাইক দেন তিনি।
তৃতীয় বলে স্মিথকে স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে উড়িয়ে চার মারেন মিলার। পরের বলে সিঙ্গেল নেয়ায় শেষ দুই বলে দুই ছক্কার সমীকরণ দাঁড়ায়। পঞ্চম বলে ডিপ মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান তেওয়াতিয়া। যদিও একজন ফিল্ডার ছিলেন সেখানে। তিনি অবশ্য ছক্কা বাঁচাতে পারেননি ঝাঁপিয়ে পড়েও। পরের বলে স্লগ সুইপ করে লং অনের ওপর দিয়ে ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন তেওয়াতিয়া।
অবশ্য পাঞ্জাবের দেয়া ১৯০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে একপ্রান্ত আগলে রেখে গুজরাটকে জয়ের পথেই রেখেছিলেন শুভমান গিল। ওয়েড ফিরেছিলেন ৬ রান করে। এরপর সাই সুধাসরনের ৩৫ রান অনেকটা এগিয়ে দিয়েছিল তাদের। গিল শেষ দিকে ৫৯ বলে ঝড়ো ৯৬ রান করে ফিরলে গুজরাটের জয় পাওয়া নিয়ে কিছুটা শঙ্কা জাগে। অধিনায়ক হার্দিকের ব্যাট থেকে এসেছে ১৮ বলে ২৭ রানের ইনিংস। মিলার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৬ রান করে।
পাঞ্জাবের হয়ে ২টি উইকেট নেন কাগিসো রাবাদা। আর একটি উইকেট পান রাহুল চাহার। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে লিয়াম লিভিংস্টোনের ২৭ বলে ৬৪ আর শেষদিকে রাহুলের ১৪ বলে ২২ রানে ভর করে ১৮৯ রানের পুঁজি পায় পাঞ্জাব। গুজরাটের হয়ে একাই তিন উইকেট নেন রশিদ খান। ২টি উইকেট পেয়েছেন দর্শন এনআলকান্ডে। ১ টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি, হার্দিক ও লকি ফার্গুসন।
অর্থসূচক/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.