মার্চে সড়কে প্রাণ গেছে ৫৮৯ জনের

চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে সড়কে ৪৫৮ টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫৮৯ জন নিহত ও ৬৪৭ জন আহত হয়েছেন। নিহতের মধ্যে নারী ৬১ জন ও শিশু ৯৬ জন।

সোমবার (৪ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। সাতটি জাতীয় দৈনিক, পাঁচটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংগঠনটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্চ মাসে ১৭৬ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২২১ জন। দুর্ঘটনায় ১৬২ জন পথচারী নিহত হয়েছেন। এছাড়া যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭৩ জন। এসময়ে পাঁচটি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত, ১১টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত ও ৮ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ১১৭ টি দুর্ঘটনায় ১৪১ জন নিহত। সবচেয়ে কম সিলেট বিভাগে। ২৬ টি দুর্ঘটনায় ৩৫ জন নিহত। একক জেলা হিসেবে ঢাকা জেলায় সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৩৩ টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত। সবচেয়ে কম নারায়ণগঞ্জ জেলায়। দুটি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি। রাজধানী ঢাকায় ১৯ টি দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে ৬ জন।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, নিহতদের মধ্যে পুলিশ সদস্য তিনজন, স্কুল-কলেজ-মাদরাসার শিক্ষক ১১ জন, চিকিৎসক চারজন, স্বাস্থ্যকর্মী তিনজন, সাংবাদিক চারজন, প্রকৌশলী তিনজন, বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী ছয়জন, এনজিও কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৩ জন, ডিসিসির পরিচ্ছন্নতাকর্মী একজন, কারারক্ষী একজন, ওষুধ ও বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী বিক্রয় প্রতিনিধি ২৪ জন, স্থানীয় পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ৩৬ জন, পোশাক শ্রমিক নয়জন, নির্মাণ শ্রমিক চারজন, ইটভাটা ও বালু শ্রমিক পাঁচজন, রং মিস্ত্রি দুইজন, রাজমিস্ত্রি তিনজন, মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধী দুজন, ইউপি চেয়ারম্যান দুজন, ইউপি সদস্য তিনজন, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা ১৪ জন ও দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭৪ জন শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানায়, সড়ক দুর্ঘটনায় গত মার্চ মাসে প্রতিদিন গড়ে ১৯ জন নিহত হয়েছেন। ফেব্রুয়ারি মাসে প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছিল ১৬ দশমিক ৭৫ জন। এ হিসাবে ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চ মাসে প্রাণহানি বেড়েছে ১৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী কর্মক্ষম মানুষ নিহত হয়েছেন ৪৬৩ জন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.