ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে তোলা অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করেছেন দেশটির জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। রোববার (৩ এপ্রিল) দেশটির জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাশেম সুরি অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দেন।

ডেপুটি স্পিকার কাশেম সুরি বলেন, অনাস্থা প্রস্তাবটি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫-এর সাথে সাংঘর্ষিক।

এর আগে, কাশেম সুরির সভাপতিত্বে আজ স্থানীয় সময় দুপুর ১২টার দিকে অধিবেশন শুরু হয়। তিনি অধিবেশনের শুরুতে আকস্মিকভাবে স্পিকার আসাদ কাইসারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন।

অধিবেশন শুরুর পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, সংবিধানের পঞ্চম অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রের প্রতি বিশ্বস্ততা প্রতিটি নাগরিকের মূল দায়িত্ব।

অনাস্ত প্রস্তাব খারিজ হওয়ার পরপরই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ইমরান খান। ভাষণে তিনি দেশের জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। ডেপুটি স্পিকার শাসন পরিবর্তনের প্রচেষ্টা এবং বিদেশি ষড়যন্ত্র প্রত্যাখান করে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে এই অধিবেশন ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কায় পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া আস্থা ভোটের আগে পাঞ্জাবের গভর্নরকে বরখাস্ত করেছেন ইমরান খান। পাকিস্তানের পাঞ্জাবের নতুন গভর্নর হিসেবে উমর সরফরাজ চিমাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এর আগে চৌধুরী মোহম্মদ সারোয়ারকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেয় ইমরান খানের সরকার।

এর আগে ইমরান খান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, একটি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা তাঁকে তিনটি বিকল্প দিয়েছিল। সেগুলো হলো- পদত্যাগ করা, আস্থা ভোট কিংবা নির্বাচন এগিয়ে আনা। কে এই প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা, তা ইমরান স্পষ্ট না জানালেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর দিকেই ইঙ্গিত করেছেন তিনি।

এ ছাড়া ইমরান খান তাকে উৎখাত করার জন্য সরাসরি আমেরিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন তিনি। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আমেরিকা বিরোধীদলকে লেলিয়ে দিয়েছে এবং এর অংশ হিসেবে জাতীয় সংসদে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে। পাকিস্তানে সরকার পরিবর্তনের জন্য আমেরিকা অর্থের জোগান দিচ্ছে।

পাকিস্তান যদিও সব সময় আমেরিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রক্ষা করেছে তবে ইমরান খান ক্ষমতায় আসার পর থেকে ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইসলামাবাদের দূরত্ব তৈরি হয়।
ইমরান খান বলছেন, আমেরিকার বেশ কিছু দাবি মেনে না নেয়ায় এবং রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করার ফলে আমেরিকা ক্ষুব্ধ হয়ে তার সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ষড়যন্ত্র করছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.