পুঁজিবাজারে আসছে ৩০০ কোটি টাকার নতুন তহবিল

আসন্ন রমজান মাসে পুঁজিবাজারে আসছে ৩০০ কোটি টাকার নতুন তহবিল। এই তহবিল পুঁজিবাজার উন্নয়নে সহায়ক হবে এবং বাজারের তারল্য বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং বাজার মধ্যস্ততাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র রেজাউল করিম।

পুঁজিবাজারের বর্তমান পরিস্থিতিতে তারল্য প্রবাহ বাড়াতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বিএসইসি। এরই অংশ হিসাবে বুধবার (৩০ মার্চ) বাজার মধ্যস্ততাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠক করে বিএসইসি।

বিএসইসি কমিশনার ড. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৈঠকে অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিজ অ্যান্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডস (এএএমসিএমএফ) এর সভাপতি ড. হাসান ইমাম, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি ছায়েদুর রহমান, ডিএসই ব্রোকারেজ অ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও ও ক্যাপিটাল মার্কেট স্টাবিলাইজেশন ফান্ডের (সিএমএসএফ) প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেনসহ ব্রোকার হাউজ এবং মার্চেন্ট ব্যাংকের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে তিনি বলেন, বৈঠকে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বৃদ্ধিসহ বাজার মধ্যস্ততাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এবং সেখানে বেশ কিছু বিষয়ে উভয় পক্ষ থেকে একমত প্রকাশ করা হয়েছে।

বিষয়গুলো হলো, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংক এ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠনে যে প্রস্তাবনা কমিশনে জমা দিয়েছে সে ব্যপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এবং পর্যালোচনা পূর্বক এ ব্যাপারে তহবিল গঠন ও ফান্ড উত্তোলনের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

দ্বিতীয়ত, আমাদের যে সকল মার্চেন্ট ব্যাংক এবং পোর্টফোলিও ম্যানেজার আছেন তাদের নিজস্ব পোর্টফোলিওতে অনেক বিনিয়োগ আছে। তাদের এই নিজস্ব পোর্টফোলিওর মাধ্যমে নতুন ফান্ড প্রবেশ করানোর জন্য আসন্ন রমজান মাসে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার নতুন ফান্ড ইনজেক্ট করে বিনিয়োগ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এ ব্যাপারে মার্চেন্ট ব্যাংক এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবেন। এবং সমস্ত মার্চেন্ট ব্যাংককে কমিশনের পক্ষ থেকে চিঠি প্রেরণ করবে বিনিয়োগ করার জন্য।

তৃতীয়ত, ডিবিএ সভাপতি রিচার্ড ডি রোজারিও তিনি আশ্বস্ত করেছেন, বাজারে যে স্টক ব্রোকার এবং ট্রেকগুলো রয়েছে যারা ডিলার অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করে, রমজান মাসে তারাও অন্তত প্রত্যেকে নতুন করে ১ কোটি টাকা করে বিনিয়োগ করবেন।

এতে আমরা মনে করছি ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার নতুন ফান্ড পুঁজিবাজারে প্রবেশ করবে, যা পুঁজিবাজার উন্নয়নে সহায়ক হবে এবং বাজারের তারল্য বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বৈঠকে মার্চেন্ট ব্যাংক এবং অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ছায়েদুর রহমান বলেন, বিগত কয়েকদিন তারা মার্কেটে বড় রকমের সহায়তা দিয়েছে। যার প্রতিফলন হিসেবে আমরা দেখতে পারছি বাজারের টার্নওভার বৃদ্ধি পেয়েছে। এবং রমজান মাসেও তিনি তার এই সহায়তা অব্যাহত রাখবেন।

এছাড়াও আমাদের যে ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড আছে সেখান থেকে ১০০ কোটি টাকা আইসিবির মাধ্যমে বিনিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এবং আগামীতে এই ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ডকে মাল্টিপ্লেয়ার ইম্পেক্ট এর মাধ্যমে আরও ইফেক্টিভ ও ইফিশিয়েন্টয় ওয়েতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা হবে। যার উল্ল্যেখযোগ্য অংশ সামনের রমজান মাসে বাজারে প্রবেশ করানো হবে। এতে করে আমরা মনেকরি যে, গত রমজানে পুঁজিবাজারের যে টার্নওভার ছিলো তার চাইতে এবারের রমজান মাসে আমাদের টার্নওভার অনেকগুণ বৃদ্ধি পাবে। যা পুঁজিবাজারের জন্য অনেকটা সহায়ক হবে এবং এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারের প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বৃদ্ধি পাবে।

অর্থসূচক/এমআর/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.