ইউক্রেনে সামরিক তৎপরতা কমানোর ঘোষণা মস্কোর

তুরস্কের মধ্যস্থতায় শান্তি আলোচনার পর পরই ইউক্রেনের কিছু অঞ্চল থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। মস্কো বলছে তারা রাজধানী কিয়েভের চারপাশে এবং উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ শহরে তাদের সামরিক তৎপরতা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে দেবে। খবর- বিবিস ও পার্সটুডের

রুশ উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেক্সান্ডার ফোমিন জানান, দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় আরো অগ্রগতি অর্জন ও আস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে কিয়েভ ও চেরনিহিভে সামরিক তৎপরতা ‘উল্লেখযোগ্য মাত্রায়’ কমানো হবে। তবে তিনি ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের কথা উল্লেখ করেননি যেখানেও রাশিয়ার সেনাবাহিনী বড় ধরনের অভিযান চালাচ্ছে। যদিও ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার এই সিদ্ধান্তকে সবচেয়ে ইতিবাচক ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে।

রাশিয়ার ডেপুটি প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, মঙ্গলবার ইস্তাম্বুলে সরাসরি আলোচনায় ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা রাশিয়ার দাবি অনুযায়ী জোট নিরপেক্ষ (নিউট্রাল স্ট্যাটাস) অবস্থান গ্রহণে নিজেদের প্রস্তুতি ঘোষণা করেছেন। সেইসঙ্গে ইউক্রেন কখনও পরমাণু অস্ত্র তৈরি করবে না বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ইউক্রেন এসব বিষয়ে রাজি হলে তাকে নিরাপত্তা গ্যারান্টি দেবে মস্কো। তাদের এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হচ্ছে পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধি করা এবং আরো সমঝোতার পরিবেশ তৈরি করা।

জোট নিরপেক্ষ অবস্থানের অর্থ, ইউক্রেন আর ন্যাটোর মতো কোনো সামরিক জোটে যোগ দেবে না, এমনকি কোনো দেশ বা জোটকে সামরিক ঘাঁটিও করতে দেবে না তারা। রাশিয়ার কর্মকর্তারাও বলেছেন যে এই আলোচনা এখন এক বাস্তব পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে।

তুরস্কে তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠকের পর তুর্কী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভুলত কাভুসগলুও বলেছেন, আলোচনায় বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে। উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনা শুরু হওয়ার পর থেকে এবারই উল্লেখযোগ্য রকমের অগ্রগতি ঘটলো।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.