চিরনিদ্রায় শায়িত সাহাবুদ্দীন আহমদ

সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (২০ মার্চ) বেলা ১১টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে সহধর্মিণীর কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দিন খান আলমগীরসহ সাহাবুদ্দীনের পরিবার ও কাছের মানুষজন দাফনে অংশগ্রহণ করেন। এরপর স্ত্রী মরহুম আনোয়ারা আহমেদের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।

এর আগে শনিবার (১৯ মার্চ) দুপুর ২টায় নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় নিজ গ্রাম পেময়ীতে সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর আজ সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজায় অংশ নিয়ে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ ছিলেন বাংলাদেশের বিচার অঙ্গনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার মৃত্যু বিচারাঙ্গনে পদচারণাকারী সবার জন্য একটি সুখের দিন। বিচারাঙ্গনের শাহাবুদ্দিন সাহেবের অবদান এই দেশ ও জাতি জানে। তার অগনিত জাজমেন্টের মধ্য দিয়ে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন। আমরা সবাই তার জন্য দোয়া করি। যাতে আল্লাহ তাআলা তাকে বেহেস্তে নসিব করেন।

জানাজা শেষে রাষ্ট্রপতির, প্রধানমন্ত্রী, প্রধানবিচারপতির পক্ষে মরহুমের কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ শনিবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান। তিনি বেশ কিছুদিন ধরে বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর। ফেব্রুয়ারি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সাহাবুদ্দীন আহমদকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। গত কয়েক বছর ধরে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.