জেলেনস্কিকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার দাবি ইউরোপীয় নেতাদের

রাশিয়ার চলমান সামরিক অভিযানে বিপর্যস্ত পূর্ব ইউরোপের দেশ ইউক্রেন। রুশ আগ্রাসনে কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে দেশটি। রাশিয়ার জোরদার আক্রমণের মুখে লাখ লাখ মানুষ ইউক্রেন ছেড়ে পালালেও রুশ সেনাদের ঠেকাতে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

এই পরিস্থিতিতে জেলেনস্কিকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করতে বেশ কিছু বর্তমান ও সাবেক ইউরোপীয় রাজনীতিবিদ নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটিকে অনুরোধ করেছেন বলে খবর প্রকাশ হয়েছে। শুক্রবার (১৮ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএফপি।

মূলত ২০২২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কিকে মনোনীত করার অনুরোধ জানিয়েছেন ইউরোপের কিছু বর্তমান ও সাবেক রাজনীতিক। এমনকি এই কারণে মনোনয়নের প্রক্রিয়াটি আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোরও আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১১ মার্চ দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব রাজনীতিক বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও ইউক্রেনের জনগণের জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কারের মনোনয়নের অনুমতি দিতে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রক্রিয়ার মেয়াদ বাড়ানো এবং পুনরায় চালু করতে অনুরোধ করছি। আমরা বিনীতভাবে কমিটিকে বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’

চলতি বছর অক্টোবরের ৩ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে নোবেল পুরস্কার জয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। এছাড়া ২০২২ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ২৫১ জন ব্যক্তি এবং ৯২টি সংস্থা আবেদন করেছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে ফিলিপিনো সাংবাদিক মারিয়া রেসা এবং রাশিয়ার সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন। নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, সাহসিকতার সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে নিজ নিজ দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন তারা।

এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিল বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি)। ক্ষুধা নিরসনে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ডব্লিউএফপিকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

আর ২০১৯ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান ইথিওপিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ আলী। শান্তি ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.