ভোজ্যতেল আমদানিতে ভ্যাট কমলো ১০ শতাংশ

 

ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে এবার পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। অর্থাৎ ভোজ্যতেল আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট কমেছে ১০ শতাংশ। আজ থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।

বুধবার (১৬ মার্চ) এনবিআর থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে ও খুচরা পর্যায়ে তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এনবিআর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সই করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পরিশোধিত-অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল এবং অন্যান্য পরিশোধিত পামওলিন তেলের ওপর আরোপিত মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলো।

আজ থেকে কার্যকর হওয়া আদেশ আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। এর আগে গতকাল অর্থমন্ত্রণালয় থেকে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত ১৪ মার্চ ভোজ্যতেলে স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল এনবিআর। ওই আদেশ অনুসারে পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম অয়েলে মোট ২০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

এরপরও ব্যবসায়ীদের দাবি ছিল বাজারে তেল সরবরাহ স্বাভাবিক ও সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম বিক্রি করতে আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহার করা। কারণ হিসেবে তারা আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধিকে দায়ী করেন।

ভোজ্যতেলের মধ্যে সয়াবিন, পাম এবং পামওলিন তেলের ওপর আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ৫ শতাংশ আগাম কর (এটি), উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বিক্রয় ও সরবরাহ পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট রয়েছে।

এর মধ্যে ১৪ মার্চের প্রজ্ঞাপনে তেলের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ ভ্যাট এবং বিক্রয় ও সরবরাহ পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট মওকুফ বা প্রত্যাহার হয়। এবার আমদানি পর্যায়ে ১০ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করা হয়েছে।

এর আগে, ২০২১ সালে ১৯ এপ্রিল সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করেছিল এনবিআর। গত ১০ মার্চ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ভোজ্য তেল, চিনি ও ছোলার ওপর আরোপিত ভ্যাট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।

এর আগে ১ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে এনবিআরে এ বিষয়ে একটি চিঠি আসে। সেই চিঠিতে সয়াবিন ও পাম অয়েলকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য হিসেবে বর্তমানে আরোপিত উৎপাদন পর্যায়ে মূল্য সংযোজনের ওপর ১৫ শতাংশ ও ব্যবসায়িক পর্যায়ে মূল্য সংযোজনের ওপর ১৫ শতাংশ বা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের ওপর ৫ শতাংশ হারে ভ্যাট হতে শর্তসাপেক্ষে অব্যাহতির পরামর্শ দেওয়া হয়।

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.