তেলসহ নিত্যপণ্য মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ

প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য মজুতকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এসব ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওপেন মার্কেট সেল (ওএমএস) নীতিমালা অনুযায়ী সারাদেশে চাল, আটা, তেল, পেঁয়াজ ও ডাল রেশন কার্ডের মাধ্যমে দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন তিন রিটকারী অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, সৈয়দ মহিদুল কবীর ও মোহাম্মদ উল্লাহ।

গত ৬ মার্চ সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনিটরিং সেল গঠন এবং নীতিমালা তৈরি করতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনির হোসেন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মহিদুল কবীর ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ উল্লাহ এ রিট দায়ের করেন। রিটে বাণিজ্য সচিব, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ সয়াবিন তেলের মূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ হাইকোর্টের নজরে আনেন তিন আইনজীবী। পরে আদালত বিষয়টিকে রিট আকারে উপস্থাপনের পরামর্শ দেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশের এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী সয়াবিন তেলের দাম অস্বাভাবিক হারে বাড়িয়ে দিয়েছে। ২ মার্চ বাজারে ক্রেতাদের কাছ থেকে এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম রাখা হয়েছে ১৭৫ টাকা। অথচ সরকার এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম ১৪৩ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।

আদালত আইনজীবীদের যথাযথ প্রক্রিয়ায় রিট করার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী রিট করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।

এদিকে গতকাল সোমবার ভোজ্যতেলে স্থানীয় উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট মওকুফ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। নতুন আদেশ অনুসারে, পরিশোধিত সয়াবিন ও পাম অয়েলে মোট ২০ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার হয়েছে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.