ভোজ্যতেলে ভ্যাট প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই

ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রতিবেশী দেশ ভারত তিনবার শুল্ক ও ভ্যাট সমন্বয় করেছে। বাংলাদেশেও ভ্যাট প্রত্যাহার করা উচিত বলে মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

সোমবার (০৭ মার্চ) এফবিসিসিআই আয়োজিত ভোজ্যতেলের বাজার পরিস্থিতি নিয়ে মতবিনিময় সভায় আগামী তিনমাসের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যের ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের এই দাবি জানান তিনি।

এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় মো. জসিম উদ্দিন বলেন, তেলের ঘাটতি না থাকার পরেও, সয়াবিন তেলের দামবৃদ্ধি অস্বাভাবিক। গুটি কয়েক অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য পুরো ব্যবসায়ী সমাজের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। অসৎ ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে সভাপতি বলেন, এফবিসিসিআই এসব ব্যবসায়ীদের দায় নেবে না।

মতবিনিময় সভায় তিনি ব্যবসায়ীদের তেল মজুদ না করতে ও সরকারি নির্ধারিত দামে তেল বিক্রি এবং মিলমালিকদের সরবরাহ ঠিক রাখার জন্য আহ্বান জানান। বাজার নিয়ন্ত্রণে এফবিসিসিআই’র পক্ষ থেকে একটি মনিটরিং সেল গঠণের ঘোষণা দেন সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। একই সাথে বাজার কমিটিগুলোকে তদারকি কার্যক্রম জোরদার করার প্রতি জোর দেন তিনি।

এসময় খোলা তেল বিক্রি বন্ধ ও আমদানিকৃত অপরিশোধিত তেল বন্ডের মাধ্যমে ছাড় করার পদ্ধতি চালুর পক্ষে মত দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।

এর আগে মেঘনা গ্রুপের সিনিয়র এজিএম তাসলিম শাহরিয়ার জানান, গত এক বছরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে ৬১ শতাংশ। একই সময়ে দেশের বাজারে মূল্যবৃদ্ধির হার ২১ শতাংশ।

সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা জানান, মিলমালিকদের পক্ষ থেকে বাজারে সরবরাহে কোন ঘাটতি নেই। প্রতিদিন দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার মেট্রিক টন তেল সিটি গ্রুপের কারখানা থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে। বাজার নিয়ন্ত্রণে কোরবানি পর্যন্ত ভোজ্যতেলেরর ওপর ভ্যাট প্রত্যাহারের আহ্বান করেন তিনি।

এস.আলম গ্রুপের সিনিয়র মহা-ব্যবস্থাপক কাজী সালাহউদ্দিন আহাম্মদও এনবিআরকে ভ্যাট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

একই দাবি জানিয়ে টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল তাছলিম জানান, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে সরকার ২৫ থেকে ২৭ টাকার রাজস্ব পায়। বর্তমান সময়ে এই রাজস্বছাড় দিলে রমজান পর্যন্ত তেলের বাজারে কোন সংকট থাকবে না।

পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. গোলাম মাওলা মিল মালিকদের প্রতি তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার আহ্বান করেন। তিনি জানান, মিলগেটে অপেক্ষার জন্য একেকটি ট্রাক বাবদ দৈনিক ৫ হাজার টাকা ড্যামারেজ দিতে হয়।

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন প্রতি ১৫ দিনে একবার তেলের দাম নির্ধারণের পরামর্শ দেন।

মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ-সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন, পরিচালক রেজাউল করিম রেজনু, হারুন অর রশীদ, আবু হোসাইন ভুঁইয়া (রানু), মহসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ বশির উদ্দিনসহ অন্যান্যরা।

অর্থসূচক/এমএস/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.