কয়লা খনি দুর্নীতি: খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি এপ্রিলে

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৬ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।

রোববার কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত-২-এর বিচারক নজরুল ইসলাম আসামিপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে নতুন তারিখ ঠিক করেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে খালেদা জিয়ার আইনজীবী হান্নান ভূঁইয়া বলেন, এদিন মামলাটি অভিযোগ শুনানির দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায়, অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছানোর আবেদন করা হলে বিচারক সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন দিন ধার্য করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উত্তোলন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়ম এবং রাষ্ট্রের ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকা ক্ষতি ও আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. নাজমুল আলম ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি শাহবাগ থানায় এই মামলা করেন। ওই বছরের ৫ অক্টোবর ১৬ আসামির বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো. আবুল কাসেম ফকির অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

বড়পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলার বিবরণে জানা যায়, ১/১১-এর জরুরি অবস্থার সময়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা করে।

শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. সামছুল আলম। মামলায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে খালেদা জিয়া সভাপতি হয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতি করেছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছিল।

পরে এ মামলা দায়েরের বৈধতা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট করেন খালেদা জিয়া। ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ফরিদ আহাম্মদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি মামলার কার্যক্রম তিন মাস স্থগিত করেন। একই সঙ্গে মামলা দায়ের ও কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনি হবে না—জানতে চেয়ে সরকারকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দিয়ে রুলও জারি করেন। পরবর্তী সময়ে মামলার স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এ মামলায় স্থায়ী জামিনে রয়েছেন খালেদা জিয়া।

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.