ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা: গত ৭ দিনে যা ঘটছে

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা এখন সাতদিনে পৌঁছেছে। সাতদিনের মাথায় এসে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরের আবাসিক এলাকাগুলোতে রাশিয়ার বোমা হামলা জোরদার হয়েছে। খবর- বিবিসির

রাশিয়ার সৈন্যরা ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দরনগরী খারসন নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এক সপ্তাহ আগে হামলা শুরুর পর এই প্রথম কোন বড় শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়ার সৈন্যরা। এ তথ্য জানিয়ে সেখানকার মেয়র বলেন, রাশিয়ার সৈন্যরা সিটি কাউন্সিল ভবনে জোরপূর্বক প্রবেশ করেছে এবং বাসিন্দাদের উপর কারফিউ জারি করেছে।

একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, খারসন শহরের কেন্দ্রস্থলে রাশিয়ার সৈন্যরা রয়েছে।

অন্যদিকে ইউক্রেনের বাহিনী বলছে, রাশিয়ার প্যারাট্রুপার খারকিভ শহরে নেমেছে। সেখানকার রাস্তায় ইউক্রেনের সৈন্যদের সাথে রাশিয়ার সৈন্যদের লড়াই চলছে।

এদিকে মারিওপোল এবং খারকিভ শহর ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার সৈন্যরা। মারিওপোল শহরের ডেপুটি মেয়র বলেছেন, শহরটিতে ১৫ঘণ্টার বেশি সময় যাবত একটানা বোমা বর্ষণ করা হয়েছে। ফলে সেখান পরিস্থিতি এখন মানবিক বিপর্যয়ের কাছাকাছি। একটি আবাসিক অঞ্চলে কয়েকশ মানুষ নিহত হয়েছে বলে ডেপুটি মেয়র আশংকা করছেন। নিহতদের মধ্যে তার বাবাও রয়েছেন।

এ ছাড়া গত কয়েক ঘণ্টায় ব্যাপক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে রাজধানী কিয়েভ এবং আরো কিছু শহর। বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে বিশাল অগ্নিকুণ্ডে শহরের আকাশ জ্বলে উঠেছে।

আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা বলছে, রাশিয়ার ৬০ কিলোমিটার দীর্ঘ সামরিক বহর কিয়েভ শহরের কাছাকাছি আসার পর অনেকটা থমকে আছে। মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এই সামরিক বহরে খাদ্য এবং জ্বালানির সংকট দেখা দিয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, কিয়েভ শহর থেকে বাসিন্দারা যাতে বের হতে পারে সে সুযোগ দেয়া হবে। বেসামরিক নাগরিকরা শহর ছেড়ে যাবার সময় রাশিয়ার সৈন্যরা কোন প্রতিবন্ধকতা তৈরি করবে না।

এ ছাড়া এ প্রথমবারের মতো রাশিয়া স্বীকার করেছে যে ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর থেকে তাদের ৪৯৮জন সৈন্য নিহত হয়েছে। এছাড়া আরো ১৫৯৭ জন আহত হয়েছে। জাতিসংঘ বলছে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে ইউক্রেন ছেড়ে প্রায় ১০ লাখ মানুষ পালিয়েছে। এ সংখ্যা দ্রুত আরো বাড়ছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া পুরোদমে হামলা শুরু করেছে ইউক্রেনে। মস্কো দাবি করছে, জাতিসংঘ সনদের ৫১ ধারা অনুযায়ী আত্মরক্ষার জন্য অভিযান পরিচালনা করছে রাশিয়ার সৈন্যরা। ইউক্রেনে রাশিয়ার সম্ভাব্য যুদ্ধাপরাধ তদন্ত শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.