জনপ্রিয়তাই আমার শত্রুতার কারণ: জায়েদ খান

জনপ্রিয়তাকেই নিজের শত্রুতার কারণ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ ফিরে পাওয়া চিত্রনায়ক জায়েদ খান।

সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে চলমান আইনি লড়াইয়ের মধ্যেই বুধবার (২ মার্চ) হাইকোর্ট শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। এতে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ ফিরে পান জায়েদ খান।

আদালতের রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদ খান সাংবাদিকদের বলেন, জনপ্রিয়তাই আমার শত্রুতার কারণ। শিল্পীরাই আমার বিরোধিতা করেছেন। আদালতের রায়ের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি ন্যায়বিচার পেয়েছি। আমার জন্য অনেক শিল্পী ও শুভাকাঙ্ক্ষী রোজা রেখে দোয়া করেছেন। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।

বুধবার (২ মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চ আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।

গত ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন হয়। প্রাথমিক ফলে সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় জায়েদ খানকে। পরে জায়েদের বিরুদ্ধে ‘টাকা দিয়ে ভোট কেনা’সহ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অভিযোগ আনেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিপুণ। এমনকি এ পদে পুনরায় ভোটের দাবিও তোলেন।

নিপুণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জায়েদ খানের পদ বা প্রার্থিতা বাতিল হবে কি না- সে বিষয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি বিকেলে এফডিসিতে বসেন শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ড। এরপর বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন।

এরপরই শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্তকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করেন জায়েদ খান। গত ৭ ফেব্রুয়ারি আপিল বোর্ডে তার প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন জায়েদ।

রিটের শুনানি নিয়ে আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত ওইদিনই স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

এরপর হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করেন নিপুণের আইনজীবী। নিপুণের সেই আপিল আজ অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিলেন হাইকোর্ট।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.