দেশে এক কোটি টিকা দেওয়ার লক্ষ্য আজ

প্রাণঘাতী  করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আজ শনিবার ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এক কোটি টিকাদানের লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। এর মধ্য দিয়ে প্রথম ডোজের টিকাদান কর্মসূচি শেষ করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম এ তথ্য জানিয়েছিলেন।

এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছিলেন, ‘সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এবং যারা মারা গেছেন, তাঁদের বেশির ভাগই টিকা নেননি। আমরা দেখেছি, যাঁরা টিকা নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে মৃত্যুর হার কম। এ অবস্থায় আমরা আহ্বান করছি, দ্রুততম সময়ে সবাই টিকা নিন।’

খুরশীদ আলম আরও বলেন, ‘আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) সারা দেশে এক দিনে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে এক কোটি প্রথম ডোজ করোনার টিকা দেওয়া সম্পন্ন হবে। সেখানে আমরা সবাইকে আহ্বান জানাই, যারা এখনও টিকা নেননি, তাঁরা এ ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণ করে টিকা নিন।’

খুরশীদ আলম বলেছিলেন, ‘২৬ ফেব্রুয়ারি আমরা দেশব্যাপী একটি ক্যাম্পেইন করতে যাচ্ছি, সেখানে আমরা লক্ষ্যমাত্রা রেখেছি সর্বোচ্চ সংখ্যক টিকা দেওয়ার। সে ক্ষেত্রে যাঁরা এখনও টিকা নেননি, আমরা তাঁদের সবাইকে আহ্বান জানাই এ ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে টিকা নিন। এর মাধ্যমে আমাদের প্রথম ডোজ টিকা দেওয়ার কাজ সম্পন্ন করা হবে। এর পরে দ্বিতীয় ডোজ ও বুস্টার ডোজ দেওয়ার কার্যক্রম নিয়ে ব্যস্ত থাকব। কাজেই আর বিলম্ব না করে করোনার টিকা নিন। নিজে সুস্থ থাকুন, দেশকে সুরক্ষিত রাখুন।’

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে টিকা কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১০ কোটি ৫০ লাখ ৫ হাজার ৩৫৭ জন। এরমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭ কোটি ৯৫ লাখ ১৭ হাজার ৪০৮ জন। আর বুস্টার ডোজ নিয়েছেন ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ৭১৮ জন। যে টিকাগুলো দেওয়া হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে অক্সফোর্ড, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না এবং জনসন অ্যান্ড জনসন ব্র্যান্ডের টিকা।

গত বছরের ১ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৫০ লাখ ৪৭ হাজার ৮২০ শিক্ষার্থী টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ ৭৯ হাজার ১৫৯ জন।

দেশে করোনা টিকার জন্য সর্বসাধারণের নিবন্ধন শুরু হয় গত বছরের ২৭ জানুয়ারি থেকে। আর টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয় ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.