আপনারা যা চান তাই লিখতে পারেন, গণমাধ্যমকে ডমিঙ্গো

হাই পারফরম্যান্সের দায়িত্ব নিতে আসলেও বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রধান কোচ বানিয়ে দেয়া হয়েছিল রাসেল ডমিঙ্গোকে। দক্ষিণ আফ্রিকার কোচের শুরুটা হয়েছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট হেরে। এরপর তার অধীনে ভারতের বিপক্ষেও নাকানিচুবানি খেতে হয়েছিল।

সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও হতশ্রী পারফরম্যান্স করেছে বাংলাদেশ। তাতে ডমিঙ্গোকে ঘিরে গণমাধ্যমে সমালোচনার অন্তি নেই। সংবাদমাধ্যমে বরাবরই তাকে নিয়ে নেতিবাচক কথা লেখা হয়ে থাকে। তবে তাতে ক্ষোভ নেই বাংলাদেশের প্রধান কোচের।
গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে ডমিঙ্গো জানিয়েছেন, ‘আপনাদের কাজ হলো লেখালেখি করা। আমার ব্যাপারে, খেলোয়াড়দের ব্যাপারে আপনারা যা ইচ্ছা তা লিখতে পারেন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হলো আমি বাইরের কথাবার্তাগুলো খেলোয়াড়দের থেকে দূরে রাখি। যদি আমি বাইরের কথাবার্তা দ্বারা প্রভাবিত হই, তাহলে আমি এটা প্রত্যাশা করতে পারি না যে আমার খেলোয়াড়রা সেসব কথাবার্তায় প্রভাবিত হবে না। আপনারা যা চান, তাই লিখতে পারেন। আমি আবারও বলছি, আমি রূঢ়ভাবে এটা বলছি না। আমি সততার সঙ্গে বলছি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনারা যা লেখেন, তা আমি বুঝতে পারি না। তাই সেসব আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না।’

গুঞ্জন রয়েছে ডমিঙ্গোর প্রথম মেয়াদে চুক্তি শেষ হওয়ার পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আরও এক দফা চুক্তি বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যদিও এ নিয়ে এখন পর্যন্ত বিস্তারিত জানায়নি বোর্ডের কর্তারা। তবে গুঞ্জন রয়েছে, চাকরি হারাতে পারেন ডমিঙ্গো।

বিসিবির সঙ্গে চুক্তি বাড়াতে আত্মবিশ্বাসী কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ডমিঙ্গো বলেন, ‘এটা আপনার বিসিবিকে জিজ্ঞেস করতে হবে। আমি যদি আত্মবিশ্বাসী না হতাম, তাহলে আমি একটি জাতীয় দলকে কোচিং করাতে পারতাম না। গণমাধ্যম যা-ই বলুক, লোকেরা যা-ই বলুক… আমি রূঢ়ভাবে এটা বলছি না… সেসব কথা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ না।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.