ইসি গঠনে ১২-১৩ জনের নাম বাছাই করেছে সার্চ কমিটি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের লক্ষ্যে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম সুপারিশের জন্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক গঠিত সার্চ কমিটি ১২ থেকে ১৩ জনের নাম বাছাই করেছে।

রোববার সন্ধ্যায় বৈঠক শেষে এ কথা জানান সার্চ কমিটির প্রধান আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। তিনি বলেন, ১২ থেকে ১৩ জনের নাম বাছাই করা হয়েছে। আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির বৈঠকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করা হবে। তবে তাদের নাম প্রকাশ করবে না সার্চ কমিটি।

সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে সার্চ কমিটির বৈঠক শুরু হয়। কমিটির প্রধান আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান এতে সভাপতিত্ব করেন।

সার্চ কমিটির সদস্য বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন, লেখক-অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক, মহা হিসাব নিয়ন্ত্রক ও নিরীক্ষক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী এবং সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

গত ১২, ১৩ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি মোট তিন দিনে চার দফায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মোট ৪৭ জন বিশিষ্ট নাগরিকের সঙ্গে বৈঠক করে সার্চ কমিটি। বিশিষ্টজনরা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে কাদের নাম দেয়া যেতে পারে সে ব্যাপারে পরামর্শ দেন।

এর আগে সার্চ কমিটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও আগ্রহী ব্যক্তিদের নির্বাচন কমিশনার হওয়ার যোগ্য ব্যক্তিদের নাম পাঠানোর অনুরোধ করেছিল। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং ব্যক্তি ও সংগঠন ৩২২ জনের নাম পাঠায়।

গতকাল শনিবার সার্চ কমিটির বৈঠকে ৩২২ জনের তালিকা থেকে ২০ জনের নাম বাছাই করা হয়। আজ ওই তালিকা ১২-১৩ জনে নিয়ে এসেছে কমিটি।

সর্বশেষ ইসির মেয়াদ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে। স্বাধীনতার পর এবারই প্রথম আইন অনুযায়ী ইসি গঠিত হচ্ছে। এ জন্য গত ২৭ জানুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ জাতীয় সংসদে পাস হয়।

আইনানুযায়ী ইসি গঠনে যোগ্য ব্যক্তি বাছাইয়ের জন্য ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতি করে ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেন রাষ্ট্রপতি। কমিটিকে ১০ জনের নাম সুপারিশের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে ১৫ কার্যদিবস।

১০ জনের নাম বাছাই করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবে সার্চ কমিটি। সেখান থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চারজন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করবেন রাষ্ট্রপতি।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.