ব্র্যাক ব্যাংকের বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের অসাধারণ ফলাফল অর্জন

সম্প্রতি প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় ব্র্যাক ব্যাংক শিক্ষাবৃত্তি প্রোগ্রামের আওতাধীন ছাত্রছাত্রীরা অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। মোট ৫০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪৭ জনই জিপিএ ৫ পেয়েছে। জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ৩৮ জন বিজ্ঞান, আট জন মানবিক ও একজন বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী।

গ্রামীণ অঞ্চলের আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারের ছাত্রছাত্রীরা অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্বেও অদম্য মনোবল প্রদর্শন করে অসাধারণ ফলাফল অর্জন করেছে।

২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ অর্জন করার পর তাদেরকে ‘ব্র্যাক ব্যাংক-প্রথম আলো ট্রাস্ট অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি’র জন্য নির্বাচন করা হয়। দীর্ঘ মহামারী তাদের লেখাপড়ায় বিঘ্ন ঘটালেও মনোবল দমাতে পারেনি।

ছাত্রছাত্রীদের এ অর্জন সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংক এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম আর. এফ. হোসেন বলেন, “অদম্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের ফলাফল জেনে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি। অনেক প্রতিবন্ধকতা সত্বেও তারা অসাধারণ ফলাফল অর্জন করেছে। তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ও সামনে এগিয়ে নিতে আমরা পাশে আছি। ব্র্যাক ব্যাংক পরিবার তাদের অভিনন্দন জানায় ও ভবিষ্যতে আরও সাফল্য কামনা করে।”

তিনি আরও বলেন, “এই ছাত্রছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউশন, মেডিকেল কলেজ-সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির পর স্নাতক পর্যায়ের পুরো খরচ বহন করবে ব্র্যাক ব্যাংক। এ ছাত্রাছাত্রীদের পাশে থাকতে পেরে ও তাদের সম্ভাবনা পূরণে সহায়তা করতে পেরে আমরা গর্বিত।”

আর্থিকভাবে সংকটাপন্ন পরিবারের মেধাবী ছেলেমেয়েদের উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করতে ২০১০ সালে ব্র্যাক ব্যাংক ও দৈনিক প্রথম আলো প্রত্রিকার অঙ্গপ্রতিষ্ঠান – প্রথম আলো ট্রাস্ট – অদম্য মেধাবী শিক্ষাবৃত্তি চালু করে। টিউশন ফি, বইপত্র কেনার অর্থ ও ভর্তির ফি সহ অদম্য মেধাবী একটি পূর্ণাঙ্গ শিক্ষাবৃত্তি কার্যক্রম।

এসএসসি’তে জিপিএ ৫ অর্জন করলে শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পর্যায়ে লেখাপড়ার জন্য বৃত্তির আবেদন করতে পারেন। পরবর্তীতে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ অর্জন করলে স্নাতক পর্যায়ের পুরো সময় বৃত্তির সুবিধা পাওয়া যায়। এ শিক্ষাবৃত্তির বিশেষত্ব হলো সকল ছাত্রছাত্রী গ্রামের ছেলেমেয়ে এবং তাদের পরিবারের পক্ষে সন্তানের উচ্চশিক্ষার খরচ বহন করা সম্ভবপর নয়। এই বৃত্তি না পেলে এই মেধাবীদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যেত ও দেশ তাদের অবদান থেকে বঞ্চিত হতো।

এখন পর্যন্ত ৮০০ এর বেশি শিক্ষার্থী এই বৃত্তির সুবিধা গ্রহণ করেছে। এদের মধ্যে অনেকেই ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক সহ নানা পেশায় নিজেদের সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে। অনেকে বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, টেক্সটাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি ও অন্যান্য স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত আছে।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.