রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম: আপিলের শুনানি বৃহস্পতিবার

বাংলাদেশ সংবিধানে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণার বৈধতা নিয়ে করা রিট খারিজের বিরুদ্ধে করা আপিলের ওপর আগামী (২৪ ফেব্রুয়ারি) আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।

কার্যতালিকা অনুসারে মামলাটির আপিল শুনানির শুরুতেই অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন আদালতকে বলেন, ‘এটি রাষ্ট্রধর্মের বিষয়। এটি নিয়ে পাবলিক ইন্টারেস্ট আছে। বিষয়টি যদি আপনারা সবাই মিলে শুনতেন। এরপর আদালত মামলাটি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি দিন নির্ধারণ করেন।

এর আগে সংবিধানের ২ (ক) অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম অন্তর্ভুক্ত করার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী। তবে ২০১৫ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রিটটি খারিজ করে রায় দেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।

হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, সংসদ দেশের বাস্তবতার নিরিখে সংবিধান সংশোধন করতে পারে। বাংলাদেশের বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বৈধ বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশের বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে ‘ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিধি বাড়ানোর আইনত ও সাংবিধানিক এখতিয়ার সংসদের। সংসদ সেটাই করেছে।’ রাষ্ট্রধর্মের ধারণা আমাদের আদি সংবিধানে ছিল না। ১৯৮৮ সালে অষ্টম সংশোধনীর মাধ্যমে ২ক অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়। যেখানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলাম ঘোষণা করা হয়’। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১২ নভেম্বর আপিল করেন আইনজীবী সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী।

প্রসঙ্গত, সংবিধানের ৮ম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করা হয়। ২০১১ সালে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম প্রতিস্থাপিত হয়। সংবিধানের ২ক অনুচ্ছেদে বলা হয়, ‘প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম। তবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টানসহ অন্যান্য ধর্ম পালনে রাষ্ট্র সমমর্যাদা ও সমঅধিকার নিশ্চিত করিবেন।’

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.