খায়রুজ্জামানকে বাংলাদেশে প্রেরণে মালয়েশিয়ার আদালতের স্থগিতাদেশ

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার এম খায়রুজ্জামানকে দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছে মালয়েশিয়ার আদালত। ফ্রি মালয়েশিয়া টুড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) খায়রুজ্জামানের রিট (হেবিয়াস কর্পাস) আবেদন শুনানিকালে এ আদেশ দেন হাইকোর্টের বিচারক মোহাম্মদ জাইনি মাজলান।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সাবেক এ কূটনীতিকের আইনিজীবী দাবি করেছেন যে, তিনি ইউএনএইচসিআর-এর কার্ড নিয়ে একজন রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী ছিলেন। তিনি কোনোও অভিবাসননীতি লঙ্ঘন করেননি। তাই তাকে আটক করা বেআইনি ছিল। খায়রুজ্জামান (৬৫) অজ্ঞাত কারণে ফেরত চায় বাংলাদেশ। খায়রুজ্জামানের স্ত্রী রীতা রহমানের দাবি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত কারণে তাঁর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রিতা রহমান আদালতের সিদ্ধান্তের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তার আশা, স্বামীর অবস্থান সম্পর্কে তিনি জানতে পারবেন।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি খায়রুজ্জামানকে তাঁর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হামজা জাইনুদিন বলেন, ‘একটি অভিযোগ থাকায় খায়রুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ বিষয়ে তাঁর দেশের (বাংলাদেশের) একটি অনুরোধ আছে। ’

এম খায়রুজ্জামান সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর। তার বিরুদ্ধে ১৯৭৫ সালের জেল হত্যা মামলা ছিল। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জেল হত্যার পর তিনি পরররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যুক্ত হন। এরপর তিনি মিশর ও ফিলিপাইনের বাংলাদেশ মিশনে নিযুক্ত ছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাকে অবসরে পাঠিয়ে গ্রেফতার করা হয়। তবে ২০০৩ সালে তিনি আদালতের জামিনে মুক্তি পান। ২০০৫ সালে তিনি মিয়ানমারে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন তিনি। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে তাকে ওই পদ বাতিল করে দেশে ফিরতে বলা হয়। তবে তিনি দেশে না ফিরে সেখানে শরণার্থী হিসেবে ছিলেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.