শিল্পী সমিতির সেক্রেটারি পদ আপাতত শূন্যই থাকবে: আপিল বিভাগ

চিত্রনায়ক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিতের বিরুদ্ধে চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তারের আপিল আবেদন শুনানি শেষে নিষ্পত্তি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতি নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর চেম্বার আদালতের স্থিতিবস্থা ও স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

পাশাপাশি হাইকোর্টকে এ মামলায় জারি করা রুলের ওপর শুনানি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তবে রুল নিষ্পত্তির পূর্বে কেউ যদি চেম্বার আদালতের আদেশ না মেনে ওই পদে বসেন তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা যাবে বলেও মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগ।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম ও অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। চিত্রনায়িকা নিপুণের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ।

এর আগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন জায়েদ খান। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন তার আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি।

সেই রিটের শুনানি নিয়ে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এক সপ্তাহের মধ্যে মামলার বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়। বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব আদেশ দেন। পরে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আপিল আবেদন জানান নিপুণ আক্তার। আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানির পর গত ৯ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে আদেশ দেন আদালত।

চেম্বার আদালত বাংলাদেশ শিল্পী সমিতি নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন। একইসঙ্গে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নিপুন আক্তারের আবেদনের ওপর আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির দিন নির্ধারণ করেন। পাশাপাশি গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে কেউ দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলেও আদালত তার আদেশে জানিয়েছিলেন।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.