প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার কারা হতে পারেন বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সার্চ কমিটির কাছে প্রত্যাশিতদের নাম জমা দেবে আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় দলটি।
জানা গেছে, সভায় উপস্থিত সদস্যদের কাছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনার কারা হতে পারেন এমন যোগ্যতা সম্পন্ন পছন্দের ব্যক্তিদের নাম চান দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। পরে দলীয় সভাপতির কথা মতো প্রত্যেক সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যরা ৫ জনের নাম দেন। সিইসি হিসেবে জমা দেওয়া তালিকায় মোটামুটি তিনটি নাম কমন রয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজন সরকারের মন্ত্রী পরিষদ বিভাগে সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া একজন সচিব হিসেবে অবসর পাওয়ার পর একটি সাংবিধানিক পদের দায়িত্ব পালন করেছেন। অবশ্য দলীয় সভাপতির ইচ্ছা অনুযায়ী ওই বৈঠকে জমা দেওয়া নামগুলো নিয়ে আর আলোচনা করা হয়নি। আগামী বৃহস্পতিবার সার্চ কমিটির কাছে আওয়ামী লীগ তাদের পছন্দের ১০টি নাম পাঠাবেন। সভায় সার্চ কমিটির কাছে নাম প্রস্তাব করার বিষয়টি ছাড়াও বিএনপির লবিস্ট নিয়োগ, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার নিয়ে আলোচনা করা হয়।
সভায় সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার নির্দেশ দেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে নিরবচ্ছিনভাবে সংগঠন শক্তিশালী করতে কাজ করতে বলেন। এ লক্ষে বিদ্যমান ৮টি টিমকে সফর শুরু করতে নির্দেশ দেন তিনি। যেসব জেলা-উপজেলায় সম্মেলন হয়নি সম্মেলন সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেন। সাংগঠনিক সফরে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে এবং বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের কথা জনগণকে জানানোর জন্য নেতাদের নির্দেশনা দেন শেখ হাসিনা।
সভাপতিমণ্ডলীর ওই সভায় নবনিযুক্ত সভাপতিমণ্ডলীর তিন সদস্যও উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন- মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম ও এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.