জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৯৪ শতাংশ, মাথাপিছু আয় ২৫৯১ ডলার

২০২০-২১ অর্থবছরে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তবে ২০০৫-০৬ অর্থবছর থেকে পরিবর্তন করে ২০১৫-১৬ অর্থবছরকে ভিত্তিবছর ধরায় প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে। অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে। মোট জিডিপির আকারও বেড়ে ৪১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সাময়িক হিসাবে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিবিএসের এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমরা একটা সাময়িক হিসাব করেছিলাম। তবে চূড়ান্ত হিসাবে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় ও মোট প্রবৃদ্ধির হার বেড়েছে। এটা মিরাকল। প্রথমে যে হিসাব করেছিলাম তার থেকে আমরা ভালো করেছি।

তিনি বলেন, মোট জিডিপির আকার বেড়ে ৪১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। পাশাপাশি প্রবৃদ্ধি বেড়ে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়েছে। আর মাথাপিছু আয় ২৫৫৪ ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ২৫৯১ ডলার।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসেবে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, যা প্রাথমিক হিসেবে ছিল ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছে, গত অর্থবছরে কৃষি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ, যা প্রাথমিক হিসেবে ছিল ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৫৯ শতাংশ। বছর শেষে বিদ্যুৎ খাতে ১১ দশমিক ৬৫ শতাংশ এবং নির্মাণ খাতে ৮ দশমিক ০৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। সার্বিকভাবে শিল্প খাতে ১০ দশমিক ২৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা প্রাথমিক হিসেবে ছিল ৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

অন্যদিকে, সেবা খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, যা প্রাথমিক হিসেবে ছিল ৫ দশমিক ৮৬ শতাংশ। এই খাতের মধ্যে পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা খাতে ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যানবাহন খাতে ৪ দশমিক ০৪ শতাংশ, ব্যাংক ও বিমা খাতে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ, শিক্ষা খাতে ৫ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং স্বাস্থ্য খাতে ১০ দশমিক ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

অর্থসূচক/এমএস/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.