জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত হাইকোর্টে স্থগিত

জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের দেওয়া সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে প্রার্থিতা বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে এক সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি রুল শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জায়েদ খানের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ন, অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম, অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। চিত্রনায়িকা নিপুণের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।

পরে অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম বলেন, আদালত জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে আপিল বোর্ডের সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন। এছাড়া সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের চিঠির কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি জায়েদ খানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বলেছেন আদালত।

এর আগে সকালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা বাতিল সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন করেন জায়েদ খান। তার আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হওয়া জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করা হয়েছে। এর ফলে তাকে হারাতে হয় পদ।

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান এক সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে নায়িকা নিপুণকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেন।

গত ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এর প্রাথমিক ফলাফলে জয়ী হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। পরে (শনিবার) আরেক প্রার্থী নিপুণ নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে আবেদন করলে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করে আপিল বোর্ড।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.