বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের মডেল: সেনাপ্রধান

সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নানাক্ষেত্রে অবদানের জন্য বিশ্বের কাছে একটি ইতিবাচক ইমেজ আছে। অসামান্য অবদানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় আজকে বাংলাদেশকে চেনে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের মডেল।’

শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘সেন্টার ফর নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশি’ আয়োজিত ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স সিরিজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় দেখেছি, কিছু কিছু দেশে নৃশংসভাবে গুলি চালানো হয়। তাতে অনেক বেসামরিক মানুষ মারা যায়। তারা মানবাধিকারকে তোয়াক্কা করে না। যদি ইতিহাস আর নথি ঘেঁটে দেখা যায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নেই। এরজন্য আমরা গর্ব বোধ করি। এভাবেই আমরা বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করেছি।’

১৯৮৮ সালে শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয় উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘শুরু থেকেই আমরা বেশ ভালো করছি এবং আমাদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। দীর্ঘ সময় ধরে বাংলাদেশ অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে প্রথম সারিতে আছে। গত এক বছর ধরে বলা যায়, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে আমরা শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী দেশ হিসেবে এক নম্বরে আছি। সেখানে সদস্য সংখ্যা সাড়ে ৬ হাজারের বেশি। আমি জেনে খুবই আনন্দিত হয়েছি যে তার ৮০ শতাংশই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য। এই অর্জন এমনি এমনি আসেনি। আমাদের অনেক আত্মত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশেও অনেক দায়িত্ব পালন করে। এসব দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে আমাদের কিছু হলেও দক্ষতা অর্জন হয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত সুশৃঙ্খল এবং একই সঙ্গে আমরা মানবিক।’

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের প্রসঙ্গ টেনে সেনাপ্রধান বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসীরা তাদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের ব্র্যান্ডিং করছেন। তাদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের বৃহৎ আয়। তাদের অবদান আমাদের দেশের অর্থনীতিকেও সমৃদ্ধি করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রবাসীদের এই অবদানকে সম্মান জানায়।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব বাংলাদেশ এখন ‘দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাওয়া এক অর্থনীতির দেশ’ বলে উল্লেখ করে জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘অনেক সূচকেই আমরা উন্নত দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে আছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবতার উদাহরণ তৈরি করেছে। বাংলাদেশের অনেক অর্জন আছে যা নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড শামসুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও ইমিরেটাস অধ্যাপক ড. এ বি এম আব্দুল্লাহ, সেন্টার ফর নন রেসিডেন্ট বাংলাদেশির চেয়ারপারসন এস এম সেকিল চৌধুরী প্রমুখ।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.