৫ দিন পর বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি চালু

টানা ৫ দিন বন্ধ থাকার পর বেনাপোল বন্দর দিয়ে আবারও শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে চালু হয় এই স্থলবন্দর।

এ তথ্য নিশ্চিত করে বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, বেনাপোলের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারী ৬টি শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বিএসএফ ও পেট্রাপোল ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির সঙ্গে কয়েক দফা ফলপ্রসূ বৈঠকের পর অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী জানান, গত বৃহস্পতিবার শুল্ক দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কলকাতায় দীর্ঘ সময় ধরে চলা বৈঠকে আন্দোলনকারীরা শুল্ক দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সংগঠনের দাবি নিয়ে বিস্তারিত জানান। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পেট্রাপোল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে একটি নোটিশ জারি করেন।

পেট্রাপোল স্থলবন্দরের ম্যানেজার কমলেশ সাহানি জানান, সম্প্রতি পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি পণ্যবোঝাই ট্রাক থেকে স্বর্ণ, ডলার, গাঁজা, জাল লাইসেন্স জব্দ করেছে বিএসএফ। ফলে কেন্দ্রীয় সরকার দেশের স্বার্থে সীমান্তে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়ে নির্দেশনা জারি করে। ট্রাকচালকসহ সংশ্লিষ্টদের কমন আইডিকার্ড চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদনপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। যেসব গাড়ির কাগজ নবায়ন করা হয়নি, কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশনায় ট্রাকচালকসহ অন্যদের কমন আইডিকার্ড না হলেও আগামী একমাস পূর্বের নিয়মে আমদানি-রপ্তানি চালু থাকবে। টার্মিনালে ট্রাকচালক ও খালাসিদের প্রবেশে তাদের সঙ্গে আপাতত আধার কার্ড বা ভোটারকার্ড সঙ্গে রাখলেই হবে।

তিনি আরও জানান, সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে সীমান্ত বাণিজ্য দ্রুত চালুর করতে আন্দোলনকারীরা আজ শনিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি শুরু করে।

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের ডাইরেক্টর মতিয়ার রহমান জানান, টানা ৫ দিনের ধর্মঘটে পণ্য সরবরাহ বন্ধ থাকায় দেশের শিল্পকলকারখানাসহ গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রিজের কাঁচামাল সংকটে উৎপাদন প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। ধর্মঘটে সরকারকে প্রায় ১০০ কোটি টাকার রাজস্ব আয় থেকেও বঞ্চিত হতে হয়েছে।

 

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.