বৈদ্যুতিক যান চার্জিং বিষয়ক নীতিমালা দ্রুত চূড়ান্ত করার সুপারিশ করেছে সংসদীয়। পরিবেশ সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ এ নীতিমালাটি গ্রাহকবান্ধব করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এই সুপারিশ করে। কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মো. আবু জাহির, নূরুল ইসলাম তালুকদার, আছলাম হোসেন সওদাগর, মোছা. খালেদা খানম ও নার্গিস রহমান অংশ নেন।
কমিটি সূত্র জানায়, বৈদ্যুতিক যান চার্জিং বিষয়ক খসড়া নীতিমালায় ইলেকট্রিক মোটরযানের জীবনকাল মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে ১০ বছর, তিন চাকার যানবাহন ৯ বছর এবং হালকা, মধ্যম ও ভারী যানবাহনের জন্য ২০ বছর ধরা হয়েছে। অনুমোদিত চার্জিং স্টেশন, নিজস্ব ব্যবস্থাপনা, সোলার প্যানেল বা নবায়নযোগ্য যেকোনও জ্বালানি ব্যবহার করে রিচার্জ করা যাবে। তবে ইলেকট্রিক মোটরযানের নিবন্ধন ও ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেন ও রুট পারমিট দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রচলিত পদ্ধতিতেই হবে।
বৈঠকে জানানো হয়, পেট্রোলচালিত যানবাহনের প্রতি একহাজার কিলোমিটারের জন্য যেখানে ৫ হাজার ৩৭৫ টাকা খরচ হয়, সেখানে একই দূরত্বের জন্য বৈদ্যুতিক যানবাহনের ক্ষেত্রে খরচ হবে একহাজার ২৫০ টাকা। এছাড়া পেট্রোলচালিত যানবাহনের চেয়ে বিদ্যুৎচালিত যানবাহনের যান্ত্রিক দক্ষতা বেশি ও পরিবেশবান্ধব।
বৈঠকে আরও বলা হয়, বিদ্যুৎ বিভাগের বর্তমানে ২১ হাজার ৮৩৮টি মামলা চলমান রয়েছে। মোট বকেয়ার পরিমাণ ৪৯৪ কোটি টাকা, যার মধ্যে স্থানীয় সরকারের কাছে বকেয়ার পরিমাণ সর্বাপেক্ষা বেশি। আগে ২ দশমিক ৪৪ সমমাসের বিদ্যুৎ বিল বকেয়া ছিল। এখন তা কমে পেয়ে ১ দশমিক ৪৬ সমমাসের বিল হয়েছে।
এতে জানানো হয়, দেশের ৬টি বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থার মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভাগ এ পর্যন্ত ৪২ লাখ ৯৮ হাজার ৩২৪টি প্রিপেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে, যা মোট সংযোগের ১৫ শতাংশ। আগামী তিন বছরে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের সর্বনিম্ন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ লাখ ২০ হাজার, যা সম্ভব হলে মোট গ্রাহকের ৩৮ শতাংশ প্রিপেইড মিটারের আওতায় আসবে।
অর্থসূচক/এএইচআর



মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.