ফিরোজায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গুলশানের ভাড়া বাসায় ফিরেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়ি বহর রওনা হয়ে রাত সাড়ে ৮টায় গুলশানের বাসভবনে এসে পৌঁছায়।

এ সময় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী গাড়ি, মোটরসাইকেল ও মিছিল নিয়ে তার সঙ্গে ছিলেন। নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই, খালেদা জিয়ার কিছু হলো জলবে আগুন ঘরে ঘরে, কে বলে রে জিয়া নাই, জিয়া সারা বাংলায়, এক জিয়া লোকান্তরে লক্ষ জিয়া ঘরে ঘরে প্রভৃতি স্লোগান দিতে থাকেন।

এর আগে এভারকেয়ার হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের প্রধান ডা. ফখরুদ্দিন মোহাম্মদ সিদ্দিকী বলেন, ‘সারাদেশে করোনার সংক্রমণ ভয়াবহ বেড়েছে। এই হাসপাতালে (এভারকেয়ারে ) জানুয়ারি মাসেই ৩৮০ জনের বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থার কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকির কথা চিন্তা করে এই মুহূর্তে বাসায় রেখেই (খালেদা জিয়ার) চিকিৎসা করা প্রয়োজন। এই সংক্রমণ যদি আবারও সৃষ্টি হয়, তাহলে এর ব্যবস্থাপনা জটিল ও কঠিন হয়ে যাবে। সেজন্য আমরা তাকে ডিসচার্জ করিয়েছি।’

সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের সদস্য প্রফেসর ডা. এফ এম সিদ্দিকী ও প্রফেসর ডা শাহাবুদ্দীন তালুকদার বলেন, আমরা চিকিৎসা দিয়ে তার (খালেদা জিয়া) রক্তক্ষরণ সাময়িক বন্ধ করতে পেরেছি। আপাতত রক্তক্ষরণ বন্ধ হলেও যেকোনো সময় আবার হতে পারে। তাকে পুরো সুস্থ করার জন্য লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। এ চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে হবে।

এ সময় ডা. একিউএম মহসিন, ডা. শামসুল আরেফিন, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ প্রায় ১৫ জন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, দাঁত, চোখের সমস্যাসহ সর্বশেষ লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ছিলেন। গত বছরের ১৩ নভেম্বর খালেদা জিয়ার রক্তবমি হওয়ার পরপরই এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে ১০ জনের একটি বিশেষ মেডিকেল টিম তাঁকে চিকিৎসাসেবা দেয়।

গত ২৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা তাঁর বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, ‘লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ায় খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ হচ্ছিল।’ তিনবার এই রক্তক্ষরণ সামাল দেওয়া গেলেও চতুর্থবারের জন্য আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়।

অর্থসূচক/এএইচআর

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.