ভারতে করোনায় আক্রান্ত আরও ২ লাখ ৩৪ হাজার, মৃত্যু ৯০০

ভারতে করোনার সংক্রমণ নিম্নমুখী। গত তিনদিনের চেয়ে অল্প হলেও রোববার (৩০ জানুয়ারি) সেই ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানি পৌঁছেছে প্রায় ৯০০ জনে। একইসঙ্গে কিছুটা বেড়েছে সুস্থতা ও সংক্রমণের হার। রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে ২ লাখ ৩৪ হাজার ২৮১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ কোটি ১০ লাখ ৯২ হাজার ৪২২ জনে।

এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৮৯৩ জন। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শনিবার মৃত্যু হয়েছিল ৮৭১ জনের। করোনা মহামারির শুরু থেকে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটিতে এখন পর্যন্ত মোট ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৯১ জন প্রাণ হারিয়েছেন।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে দৈনিক সংক্রমণের হার শনিবার ছিল ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। রোববার তা বেড়ে হয়েছে ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ। সাপ্তাহিক সংক্রমণের হার ১৬ দশমিক ৪০ শতাংশ। তবে দেশটিতে সুস্থতার হার অল্প হলেও বেড়েছে। শনিবার ভারতে সুস্থতার হার ছিল ৯৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ, অবশ্য রোববার তা বেড়ে হয়েছে ৯৪ দশমিক ২১ শতাংশ।

ভারতের অধিকাংশ বড় রাজ্যেই কমছে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা। তবে দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা এখনও উদ্বেগজনক। রাজ্যটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। এছাড়া সব রাজ্যেই মৃতের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে।

ভারতে করোনার সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় বেশ উন্নতি হয়েছে। রোববারসহ টানা কয়েকদিন ধরেই দেশটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা নিম্নমুখী রয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে ভারতে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ৯৩৭ জন। যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ১ লাখ ১৯ হাজার কম। এছাড়া দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৮৭ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৪ জন করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৫২ হাজার ৭৮৪ জন।

ভারতে এখন পর্যন্ত ১৬৫ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি ডোজ করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। যা কি না দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির মোট প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ বলে দাবি করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। এত কম সময়ে এতো বিপুল সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়ার নজির নেই বলেই মনে করছে দেশটির ক্রেন্দ্রীয় সরকার।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.