ম্যাচ জিততে শেষ দুই ওভারে ২১ রান প্রয়োজন ছিল খুলনা টাইগার্সের। ৩৮ রান করে খুলনার ত্রাতা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। অবশ্য মেহেদি হাসান রানার প্রথম বলেই ফিরতে পারতেন খুলনার অধিনায়ক। তবে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ ক্যাচ মুশফিক ক্যাচ তুলে দিলেও সেটা লুফে নিতে পারেননি শফিকুল ইসলাম। পরের বলে অবশ্য ফরহাদ রেজাকে ফিরিয়ে ফরচুন বরিশালকে ম্যাচে রাখেন মেহেদি।
পরের দুই বলে দুই রান দিলেও পঞ্চম বলে কামরুল ইসলাম রাব্বিকে আউট করেন বাঁহাতি এই পেসার। শেষ সাত বলে যখন ১৮ রান দরকার তখন মেহেদির বলে স্কুপ করতে গিয়ে উইকেট কিপার নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক। তাতে ১৯তম ওভারে ৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে বরিশালকে ১৭ রানের জয় এনে দেন মেহেদি।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জয়ের জন্য ১৪১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি খুলনা। ইনিংসের প্রথম ওভারেই মুজিব উর রহমানের গুড লেংথের বলে তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে দাঁড়িয়ে থাকা জিয়াউর রহমানের হাতে ক্যাচ দেন ৪ রান করা আন্দ্রে ফ্লেচার।
করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ফেরার পর ব্যাট হাতে আরও একবার ব্যর্থ সৌম্য সরকার। ফ্লেচার আউট হওয়ার পরের বলে লেগ বিফোর উইকেটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন বাঁহাতি এই ওপেনার। থিতু হতে পারেননি তিনে নামা রনি তালুকদার। ডানহাতি এই ব্যাটার আউট হয়েছেন ১৪ রানে।
শেখ মেহেদি হাসান ভালো শুরু করলেও সাকিব আল হাসানের বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে তুলে মারতে গিয়ে স্টাম্পিং হয়েছেন। ডানহাতি এই ব্যাটার করেছেন ২৩ বলে ১৭ রান। ইয়াসির আলী রাব্বি ও থিসারা পেরেরা জয়ের স্বপ্ন দেখালেও শেষ পর্যন্ত জয় পাওয়া হয়নি খুলনার। ইয়াসির ২৩ এবং পেরেরা ১৯ রান করে আউট হলেও খুলনার জয়ের স্বপ্ন জিইয়ে রেখেছিলেন মুশফিক। তবে ১৯তম ওভারের শেষ বলে দলটির অধিনায়ক আউট হলে হারতে হয় খুলনাকে। বরিশালের হয়ে মেহেদি চারটি, মুজিব এবং জ্যাক লিনটট নিয়েছেন দুটি করে উইকেট।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪১ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেছেন ক্রিস গেইল। এ ছাড়া তৌহিদ হৃদয় ২৩ এবং নাজমুল হোসেন শান্ত ১৯ রান করেছেন। খুলনার হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রাব্বি, পেরেরা এবং রেজা।
অথূর্সচক/এমএস/এএইচআর
মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.