প্রবাসী আয়ে নগদ সহায়তার আওতা বাড়ানো হয়েছে

দেশে বৈধ পথে প্রবাসীদের কষ্টার্জিত রেমিট্যান্স বাড়াতে নগদ সহায়তায় আওতা বাড়িয়েছে সরকার। এখন থেকে বিদেশি সংস্থায় কাজ করেছেন এমন ব্যক্তিদের ওইসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত পেনশন ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড, লিভ সেলারি, বোনাস ও অন্যান্য গ্র্যাচুইটি এবং অবসর সুবিধার অর্থ দেশে বৈধভাবে পাঠালে তারাও রেমিট্যান্স হিসাবে আড়াই শতাংশ নগদ সহায়তা পাবেন।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠানো প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রবাসীদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক আয় বৈধ উপায়ে দেশে প্রত্যাবাসন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বিদ্যমান হারে রেমিট্যান্স প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা দেয়ার জন্য কয়েকটি খাত যুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো; প্রবাসীদের পেনশন ফান্ড, প্রভিডেন্ট ফান্ড, ছুটির বিপরীতে প্রাপ্ত বেতন, বোনাস ও অন্যান্য গ্র্যাচুইটি এবং অবসর সুবিধা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রেমিট্যান্সের অর্থের আয়ের উৎস সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে এবং আহরণের সাথে সাথে আবশ্যিকভাবে টাকায় রূপান্তর করতে হবে। এ নির্দেশনা প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ হতেই কার্যকর হবে। এছাড়া, রেমিট্যান্স প্রেরণের বিপরীতে প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা সংক্রান্ত আগে ইস্যু করা নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।

জানা গেছে, করোনাকারীন সময়ে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর পরিমাণ বাড়লেও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই কমছে বৈধপথে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স। তাই বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়াতে চলতি বছরের শুরুতেই নগদ সহায়তার হার বাড়িয়েছে সরকার। এবার বাড়তি নগদ সহায়তার আওতা বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ২৩ কোটি ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময় ছিল ১ হাজার ২৯৪ কোটি ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে রেমিট্যান্স কমেছে ২৭০ কোটি ডলার বা ২০ দশমিক ৯১ শতাংশ।

অর্থসূচক/মৃত্তিকা সাহা/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.