১৫০ কেন্দ্রের ফল: আইভী ১২৬৯৯৫, তৈমূর ৭২৩৭৩

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে ১৯২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়েছে। পুরো সিটির নির্বাচন এবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) হয়েছে। রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে একটানা বিকেল চারটা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা।

এখন পর্যন্ত ১৫০টি কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী পেয়েছেন ১ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৫ ভোট। প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ৭২ হাজার ৩৭৩ ভোট। অর্থাৎ আইভী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তৈমূরের চেয়ে ৫৪ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন।

এদিকে সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রিটার্নিং অফিসার মাহফুজা আক্তার আনুষ্ঠানিকভাবে ফল তুলে ধরে জানান, এখন পর্যন্ত পাওয়া ৪৬টি কেন্দ্রের মধ্যে নৌকা প্রতীকে আইভী পেয়েছেন ৩২ হাজার ২২০ ভোট, আর হাতি প্রতীকে তৈমুর পেয়েছেন ২০ হাজার ১৫২ ভোট।

নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়রপ্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী। তিনি বলেছেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আমি জিতবই।’ অন্যদিকে নির্বাচনে দৃশ্যমান কোনো কারচুপি না হলে জনগণের রায় মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমূর আলম খন্দকার।

এছাড়া শেষ মুহূর্তে ভোট দিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, নৌকার জয় হবে।

আইভী ও তৈমূর আলম ছাড়া মেয়র পদে অন্য প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের এ বি এম সিরাজুল মামুন (দেয়ালঘড়ি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাছুম বিল্লাহ (হাতপাখা), বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস (হাতঘড়ি), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মো. জসিম উদ্দিন (বটগাছ) ও স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল ইসলাম (ঘোড়া)।

এদিকে নির্বাচনে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৪৮ জন এবং সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.