টিএসসির কাওয়ালি কনসার্টে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) পায়রা চত্ত্বরে কাওয়ালি গানের আসরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগের কর্মীরা অনুষ্ঠান শুরুর আগেই মঞ্চে হামলা, চেয়ার ভাঙচুর ও কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন আয়োজক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।

আজ বুধবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা কলেজ শাখার নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অংশ নেন। এতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

আয়োজকদের অভিযোগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা এ হামলা চালান। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।

তারা জানান, গত সপ্তাহে তারা টিএসসির পরিচালক আকবর হোসেনের অনুমতি নেন। এরপর তাদের কার্যক্রম শুরু করেন। আজ দিনের মধ্যে স্টেজের কার্যক্রম সম্পন্ন করলেও বিকেলে সাউন্ড সিস্টেমের কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু সাউন্ড সিস্টেমের দায়িত্বে থাকা তৈয়ব জানান, সাদ্দাম হোসেন তাকে নিষেধ করেছেন। পরে তারা অন্য জায়গা থেকে সাউন্ড সিস্টেম ভাড়া করে আনেন। এর আগেই সাদ্দাম হোসেনের অনুসারী বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা এসে অনুষ্ঠানে হামলা করেন। এতে তাদের বেশ কয়েকজন আহত হন।

আয়োজকদের অন্যতম হুজাইফা বলেন, আজ আমরা কাজ শুরু করার আগে টিএসসির পরিচালক আকবর তাদের জানান, সাদ্দাম ফোন দিয়ে এই প্রোগ্রাম করতে নিষেধ করেছে। তিনি আমাদের সাদ্দামের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। পরে সাদ্দাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে দিয়েও অনুষ্ঠানটি না করতে চাপ প্রয়োগ করেন। তারপরও আমরা প্রোগ্রামটি করার চেষ্টা করি। সাদ্দাম হোসেন কোনোভাবে প্রোগ্রামটি বাতিল করতে না পেরে তার পোলাপানকে দিয়ে হামলা করান।’

অভিযোগের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘এ হামলার সাথে ছাত্রলীগ জড়িত থাকার কোনো প্রশ্নই আসে না। যতদূর জানি আয়োজকদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ হামলা হয়েছে। এটি শরিয়াবিরোধী কি না, নারীরা এখানে থাকতে পারবে কি না এটা নিয়ে তাদের দুইপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।’

এদিকে, হামলার প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল করেন প্রগতিশীল ছাত্র জোটের নেতাকর্মীরা। তারা ক্যাম্পাসে এই হামলার প্রতিবাদ ও হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবি জানান।

হামলার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় আমি মর্মাহত হয়েছি। আয়োজকদের করোনা সংক্রমণ বাড়ার কারণে এটা পিছিয়ে দিতে বলেছিলাম। তারা আমাদের অনুরোধ রাখেনি। আর যারা হামলা করেছে তাদের বিষয়ে তদন্ত করা হবে। তাদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এতে আয়োজক পক্ষের লোকেরা আমাদের অনুরোধ না শুনে কেন করল এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে কিনা খুঁজে বের করা হবে।’

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.