ওয়াকিটকি রাখায় সু চির ৪ বছরের কারাদণ্ড

লাইসেন্স বিহীন ওয়কিটকিসহ বেশ কয়েকটি মামলায় মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচিকে চার বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত। আদালতের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সোমবার (১০ জানুয়ারি) রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়াকি-টকি রেখে রপ্তানি-আমদানি আইন লঙ্ঘনেএবং সিগন্যাল জ্যামার বসানোর দায়ে তাকে এই কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দুটি শাস্তি একই সঙ্গে চলবে।

তবে নিজের বিরুদ্ধে আনীত সবগুলো অভিযোগই অস্বীকার করে আসছেন নোবেলজয়ী সু চি। মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানা গেছে, এই শাস্তি তিনি যেখানে বন্দি আছেন সেখানে থেকে ভোগ করবেন। তবে সু চিকে কোথায় রাখা রয়েছে তা স্পষ্ট করা হয়নি।

এর আগে করোনাসংক্রান্ত বিধিনিষেধ ভঙ্গ ও সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গত ডিসেম্বরে তাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে তা কমিয়ে দুই বছর করা হয়।

দেশটিতে নোবেল বিজয়ী ৭৬ বছর বয়সী সুচির বিরুদ্ধে প্রায় এক ডজন মামলা বিচারাধীন। এসব মামালায় সম্মিলিতভাবে তার একশ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। তবে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সুচি।

গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক বাহিনী যখন অভ্যুত্থান ঘটিয়ে তার বাড়িতে তল্লাশি চালায় তখন অবৈধ ওয়াকি-টকি পাওয়ার অভিযোগ ওঠে। তবে যারা সু চির বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে কোনও ওয়ারেন্ট ছাড়াই প্রবেশ করে বলে জানা যায়। এই মামলার রায় ঘোষণা একাধিক বার পিছিয়ে সোমবার ধার্য করেন বিচারক। এ ছাড়া গত বছরের শেষের দিকে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সুচির ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও এনএলডি দলের স্পিকার উইন হেইনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয় রাজধানী নাইপিদোতে একটি বিশেষ আদালত।

গত বছরের ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চির এনএলডি (ন্যাশনাল লি ফর ডেমোক্র্যাসি) সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী। এর পরপরই জান্তাবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে মিয়ানমার। বিক্ষোভ দমনে চড়াও হয় সামরিক সরকারও। এতে এ পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ, বন্দি হয়েছেন কয়েক হাজার।

অর্থসূচক/এএইচআর

 

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.