স্ত্রীসহ রুহুল আমিন হাওলাদারকে দুদকের তলব

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সন্দেহজনক লেনদেনের ব্যাখ্যা দিতে জাতীয় পার্টির (জাপা) কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার ও তার স্ত্রী সংসদ সদস্য নাসরিন রত্নাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমানের দেওয়া এক তলবি নোটিশে ১০ জানুয়ারি তাদের দুদকে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

রোববার (৯ জানুয়ারি) দুদকের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

দুদকের নোটিশে বলা হয়েছে, গত বছরের ১০ নভেম্বর রুহুল আমিন হাওলাদারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বক্তব্য প্রদানের জন্য দুই মাস সময় দেওয়া হয়। দুই মাস সময় দেওয়ার পর কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১০ জানুয়ারি তাদের কমিশনে উপস্থিত হয়ে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তার কাছে বক্তব্য প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।

বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রুহুল আমিন হাওলাদার এবং তার স্ত্রী বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য নাসরিন রত্নার নামে থাকা বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করেন এমন অভিযোগ অনুসন্ধানে গত বছরের আগস্টে প্রথমবার তাদের তলব করা হয়। কিন্তু তখন হাজির হননি। তারা সময় চেয়ে আবেদন করেন। তাদের আবেদন আমলে নিয়ে দুই মাস সময় দেওয়ার পর দ্বিতীয়বারের মতো তলব করা হলো।

এছাড়া অন্য অভিযোগে রুহুল আমিন হাওলাদারকে কয়েকবার দুদকে তলব করা হলেও তিনি কোনোবারই দুদকে আসেননি।

সরকারি সম্পদ লোপাটের মাধ্যমে শত কোটি টাকার আয়বর্হিভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর রুহুল আমিন হাওলাদারকে প্রথম দফায় তলব করে দুদক। তবে নির্বাচনের প্রস্তুতির কারণ দেখিয়ে দুদকে হাজির না হয়ে তিনি হাজিরা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন।

২০১৯ সালের ২০ মে এমন একটি তারিখে ওমরাহ হজে যাওয়ার প্রস্তুতির কারণ দেখিয়ে দুদকে হাজির হওয়া এড়িয়ে যান তিনি।

ওই বছরের ২৮ মার্চ রুহুল আমিন হাওলাদারকে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়। ওই নোটিশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাওলাদার রিট আবেদন করলে আদালত প্রাথমিক শুনানি নিয়ে চার সপ্তাহের জন্য দুদকের তলব স্থগিত করে দিয়েছিলেন।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.