বোনকে নিয়ে পদ্মা সেতুতে হাঁটলেন প্রধানমন্ত্রী

পদ্মা সেতু পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সকালে ছোট বোন শেখ রেহানাকে সঙ্গে নিয়ে তিনি পদ্মা সেতু পরিদর্শন করেন। সরকারপ্রধান পদ্মা সেতুর কাজের বিভিন্ন অগ্রগতি ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস জানান, ভোর সাড়ে ছয়টার দিকে প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে পদ্মাসেতুর উদ্দেশ্য রওনা দেন। সেতু পরিদর্শন শেষে সাড়ে ১১টার দিকে তিনি গণভবনে ফিরে আসেন।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবদুল কাদের গণমাধ্যমকে জানান, প্রধানমন্ত্রী সড়কপথে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সেতু এলাকায় পৌঁছান। এ সময় ছোট বোন শেখ রেহানাও তার সঙ্গে ছিলেন। গাড়ি থেকে নেমে শেখ রেহানাকে নিয়ে পদ্মা সেতুর ৭ নম্বর পিলার থেকে ১৮ নম্বর পিলার পর্যন্ত ১৬৫০ মিটার পথ হাঁটেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আবার গাড়িতে উঠে সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটে রাজধানীর উদ্দেশে রওনা হন।

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী গাড়ি নিয়ে মাওয়া প্রান্ত দিয়ে সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে সেতুতে ওঠেন। সাড়ে ৮টার দিকে সেতুর জাজিরা প্রান্ত দিয়ে নামেন। জাজিরা প্রান্তে সেতুর সার্ভিস এরিয়া দুইয়ে বোনকে নিয়ে সকালের নাস্তাও করেন সরকারপ্রধান। পরে আবার সেতু পার হয়ে ফিরে আসেন সড়ক পথে।

এর আগে গত বছরের ২৪ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়া থেকে ঢাকায় ফেরার পথে হেলিকপ্টার থেকে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর ভিডিও মোবাইল ক্যামেরায় ধারণ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। হেলিকপ্টার থেকে মোবাইলে পদ্মা সেতুর ভিডিও ধারণের সময়ও প্রধানমন্ত্রীকে আপ্লুত দেখা যায়।

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে লৌহজং, মুন্সিগঞ্জের সঙ্গে শরিয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে, ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে।

প্রসঙ্গত, ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল পদ্মা সেতুতে নিচ দিয়ে রেলপথ ও ওপর দিয়ে সড়কপথ থাকবে। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড (এমবিইসি) এবং নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন। সেতুর কাজ প্রায় ৯৫ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী বছরের ৩০ জুন যান চলাচলের জন্য উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

অর্থসূচক/এএইচআর