রেমিট্যান্সে প্রণোদনা আরও এক শতাংশ বাড়ানো উচিত: আতিউর রহমান

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেছেন, কোভিড-১৯ এর কারণে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সবচেয়ে বড় যে তিনটি খাত ভূমিকা রেখেছে, তার মধ্যে রেমিট্যান্স অন্যতম। এ কারণে রেমিট্যান্সে প্রণোদনা আরও এক শতাংশ বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা উচিত।

বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শুরু হওয়া বণিক বার্তা আয়োজিত দ্বিতীয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলন ২০২১-এ তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এ গভর্নর বলেন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে দেশের কৃষি খাত ছিল রক্ষাকবচ। এর পরেই ভূমিকা রেখেছে প্রবাসী আয় ও রফতানি খাত। এছাড়া টেকসই অর্থনীতি বাস্তবায়নে আটটি সুপারিশ করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রবাসী বন্ড কেনায় এক কোটি টাকার যে লিমিট আছে, সেটা উঠিয়ে বাড়ানো যেতে পারে। বিনিয়োগ বাড়াতে প্রয়োজনে এর সুদহার ১০ শতাংশের স্থানে ৮ শতাংশ করা যেতে পারে। তারপরও এক কোটি টাকার সিলিংকে বাড়ানো যায়।

সাবেক এ গভর্নর বলেন, আমাদের দেশ ও দেশের অর্থনীতি ঊর্ধ্বমুখী। আগামীতে ট্রিলিয়ন ডলারের দেশ হবে বাংলাদেশ। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বঙ্গবন্ধু অর্থনীতিকে এগিয়ে নিতে যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাকে যদি না হারাতাম তাহলে আজকের অবস্থায় অনেক আগেই যেতে পারতাম। তবুও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সামনের দিকে আরও এগিয়ে যাবে।

দেশের অর্থনীতিতে বৈষম্য থাকার পরও অর্থনৈতিক সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন আতিউর রহমান। তিনি উল্লেখ করেন, করোনাকালে সারা পৃথিবীর অর্থনীতি যখন ধসে গেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি তখনও দাঁড়িয়েছিল। এটা সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ফলে।

আতিউর রহমান বলেন, করোনার কারণে আমাদের আমদানি বেড়েছে ৫৪ শতাংশ। আশার কথা হলো, এর বেশিরভাগই কাঁচামাল। ফলে এটা শিল্পের জন্য সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।

বাংলাদেশ ব্যাংক নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এখন ভরসার প্রতীক। এই ভরসা ধরে রাখতে হবে। তাহলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধি ও টেকসই হবে।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান গভর্নর ফজলে কবির, সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ও ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার।

অর্থসূচক/এমএস

  
    

মন্তব্যসমূহ বন্ধ করা হয়.